Search
Close this search box.

অপার্থিব প্রেমের বসন্তকাল মাহে রামাযান : হাসান বিন ফাহিম

বসন্তকাল মাহে রামাযান
Facebook
Twitter
WhatsApp

রামাযান।হিজরী সনের শ্রেষ্ট মাস।বহু কারণে এ মাস বাকি এগারো মাস থেকে অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ।এ মাসে মানব ও জিন জাতির দুনিয়া-আখেরাতের সফলতার সনদ কোরআনুল কারীম লাওহে মাহফুজ থেকে প্রথম আসমানে নাযিল করা হয়েছে এবং প্রথম আসমান থেকে পৃথিবীতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট নাযিল হওয়া শুরু হয়েছে।কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে- (তরজমা) ‘রমযান মাসই হল সে মাস যাতে নাযিল  করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্যপথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ। -সূরা বাকারা ১৮৫

এ মাসে ইসলামে পঞ্চস্তম্বের অন্যতম সাওম তথা রোজার বিধান রয়েছে।আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- (তরজমা) ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর (রমযানের) রোযা ফরয করা হয়েছে, যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর ফরয  করা হয়েছিল। যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।’- সূরা বাকারা ১৮৩

রামাযান মাসে রয়েছে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ট রাত লাইলাতুল ক্বাদর।কোরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে (তরজমা)নিঃসন্দেহে কদরের রাতে আমি কুরআন অবতীর্ণ করেছি। আর আপনি কি জানেন শবে কদর কী? শবে কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এ রাতে ফেরেশতা ও রুহুল কুদ্স (জিবরাঈল আ.) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক মঙ্গলময় বস্তু নিয়ে (পৃথিবীতে) অবতরণ করে। (এ রাতের) আগাগোড়া শান্তি যা ফজর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’ -সূরা কদর

এ মাসের প্রতিটি মূহুর্তকে আল্লাহ তা’লা মহিমান্বিত করেছেন।ঈমানদারদের জন্য রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে- ‘রমযান মাস শুরু হলেই রহমতের দরজা খুলে  দেওয়া হয়।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১০৭৯/২

রামাযানের মাসজুড়ে সাওম তথা রোজার অশেষ প্রতিদান রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা নিজেই ইরশাদ করেন- (তরজমা) ‘নিশ্চয় রোযা আমার জন্য, আর এর প্রতিদান স্বয়ং আমিই দিব।’ সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১/১৬৫

রামাযানে প্রতি রাতে রয়েছে ফযিলতপূর্ণ ২০রাকাত তারাবিহ।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করা হয়।’ (বুখারি : ২০৪৭)

রামাযানের নফল ইবাদাতকে অন্য মাসের ফরজ ইবাদাতের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘রমযানের ওমরা হজ্জ সমতুল্য।’ -জামে তিরমিযী, হাদীস ৯৩৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৯৮৬
অন্য এক বর্ণনায় (যা সনদের দিক থেকে দুর্বল) বিষয়টি এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘রমযান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফযর আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরয আদায় করল সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করল। -শুআবুল ঈমান ৩/৩০৫-৩০৬

আল্লাহ আমাদেরকে মাহে রামাযানের ক্বদর করা তাওফিক্ব দান করুন।

লেখক : ফাযিল ও শিক্ষক, জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত