আগাম নির্বাচনের দাবিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একটি দলীয় সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা করেন। কেজরিওয়াল জানান তিনি পুনরায় নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফিরে আসবেন না। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী জামিনে মুক্তির পর কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার দুপুরে আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান এক সম্মেলনে জানিয়েছেন দুদিনের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করবেন।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়াল প্রায় ছয় মাস কারাগারে ছিলেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পরপরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
রবিবার সম্মেলনে কেজরিওয়াল বলেন, “দুদিন পর আমি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেব। যতদিন না জনতার রায় পাচ্ছি ততদিন আমি এই আসনে ফিরে আসব না। দিল্লিতে কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি আদালতে ন্যায় পেয়েছি এবং এখন জনতার আদালতে ন্যায় পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। যখন মানুষ চাইবেন আমি তখনই পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হব।”
আরও পড়ুন ::: যুক্তরাজ্যে ভিজিট ভিসায় বড় পরিব’র্তন, আসছে নতুন নিয়ম
এছাড়া দিল্লিবাসীদের উদ্দেশে কেজরিওয়াল অনুরোধ করেছেন যদি তারা মনে করেন যে তিনি নির্দোষ এবং দিল্লির জন্য কাজ করেছেন তবে তাকে পুনরায় ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পর কেজরিওয়ালের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন দলের মধ্য থেকেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। কাদের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হবে তা নিয়ে এখনও কোনো স্পষ্টতা নেই।
সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। তবে কেজরিওয়াল আশা প্রকাশ করেছেন যে নির্বাচন তার আগেই অনুষ্ঠিত হবে। তিনি জানিয়েছেন নভেম্বরে মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের সাথে দিল্লির নির্বাচন আয়োজন করা হলে ভালো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর তিনি ভোটের প্রচারে নিজে উপস্থিত থাকবেন এবং মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইবেন।