Search
Close this search box.

সুহেল চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের মামলা

সুহেল চৌধুরীকে আসামী
সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথ নিউজ২৪::: সিলেটের বিশ্বনাথে সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (বহিস্কৃত) সুহেল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে ফের মামলা দায়ের করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. লিলু মিয়া।

জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। যার নং সিআর ৩৭/২০২৪ইং। মামলায় সুহেল আহমদ চৌধুরী ছাড়াও জাহাঙ্গীর নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা রাখা হযেছে আরও ৭-৮ জন ।

মামলার এজহারে অভিযোগ করা হয়েছে যে, সুহেল চৌধুরী আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তি। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগের চিহ্নিত চিহ্নিত দালাল হয়ে ওঠেন এবং তার বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১ এপ্রিল ২০২২ তারিখে রাত আনুমানিক ৮টা ৩০ মিনিটে বিশ্বনাথের নতুনবাজার এলাকার যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাবুল মিয়ার বাসায় ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গিয়েছিলেন লিলু মিয়া। কাজ শেষে তিনি ১নং স্বাক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে সিলেটের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। রাত আনুমানিক ৯টার সময়, কারিকোনা এলাকার বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্তা থেকে সিলেটগামী একটি মিনি বাসে ওঠার সময় ১ ও ২নং আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জন আসামী পরিকল্পিতভাবে লিলু মিয়াকে ঘিরে ধরে আক্রমণ করে, তার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ১ লাখ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে মারধর করে।

বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের মামলা
সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চেীধুরী ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া

মলার বাদী মো. লিলু মিয়া বলেন, “সমাজে অন্যায়কারীদের কোনো স্থান নেই। স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের অপকর্মের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমাকে অমানবিকভাবে আক্রমণ, নির্যাতন ও মানহানি করা হয়েছে। বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় সেই সময় ন্যায় বিচার পাইনি। স্বৈরশাসক ও তাদের অনুসারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমাকে সুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত করেছিল। তবে এখন তাদের জুলুম-নির্যাতনের দিন শেষ হয়েছে, আমি ন্যায় বিচার চাই।”

এই বিষয়ে সুহেল আহমদ চৌধুরীর বলেন, “দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে অপ্রত্যাশিত একই ঘটনার ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। যা হাস্যকর হিসেবে মানুষের মধ্যে বিবেচিত হওয়ার শামিল। এটি অসুস্থ মস্কিকের পরিচয় ছাড়া আর কিছু নয়”। “থানায় দেয়া প্রথম মামলায় ইতিমধ্যে আমার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া হয়েছে, যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন। এর আগে একই অভিযোগে করা আরেকটি মামলা আদালত খারিজ করে দেন। এখন পর্যন্ত এ নিয়ে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তথ্য গোপন করে আদালতকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে এসব করা হচ্ছে। আমি আইনের আশ্রয় নিচ্ছি। আমি বিএনপির রাজনীতিতে আগেও ছিলাম, দুঃসময়ে থেকেছি, এবং এখনো আছি ও থাকব।”

আরও পড়ুন :: বিশ্বনাথে মাকুন্দা ন’দী’র পাড় থেকে শিশুর লা’শ উ’দ্ধা’র

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এটি তদন্তাধীন আছে।’

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত