বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শামছুন্নার প্রকাশ বুরাইদা (২১) নামের এক নারীর ছুরিকাঘাতে জীবন প্রদীপ নিভে গেছে দেলোয়ার হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তির। ঘটনাটি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল (সাদীরপাড়া) গ্রামে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটে। ঘটনার পর পরই থানা পুলিশ হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার’সহ শামছুন্নার প্রকাশ বুরাইদা ও তার পিতা চাঁন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। দেলোয়ার একই গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের পুত্র।
এঘটনায় নিহতের ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে শামছুন্নার প্রকাশ বুরাইদা এবং বুরাইদার ভাই ফাহিম ও পিতা চাঁন মিয়াকে অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৭ (তাং ২৬.০১.২৪ইং)। বুরাইদা-চাঁন মিয়া গ্রেপ্তার হলেও ফাহিম পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুরাইয়া-দিলোয়ার উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আমতৈল (সাদীরপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। নিহত দিলোয়ারের উঠানে জমানো ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পেলে বুরাইদা গংদের মুরগীর কয়েকটি বাচ্চা। এনিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) দুপুরে দুই পক্ষ ঝগড়া বিবাধে জড়ায়। উক্ত ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুনঃরায় ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এসময় বুরাইদা অত্যাধিক আক্রোশান্বিত হয়ে নিহত দেলোয়ার হোসেনকে ঝাপটে ধরে তার (বুরাইদা) হাতে থাকা চাকু দিয়ে দেলোয়ারের বুকের বাম পাশে স্বজোরে ছুরিকাঘাত করে এবং মামলার অপর অভিযুক্ত ‘ফাহিম ও চাঁন মিয়া’ ঐক্যবদ্ধভাবে দেলোয়ারের ঘরে আক্রমন করে। বুরাইদার ছুরিকাঘাতে দেলোয়ার রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর মামলার সাক্ষী’সহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত দেলোয়ারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত দেলোয়ার হোসেন’কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার এবং জড়িত বুরাইদা-চাঁন মিয়াকে গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত অপর অভিযুক্ত ফাহিমকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দু’জনকে আজ (২৭ জানুয়ারী রোববার) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।