AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

সিলেট গ্যাস ফিল্ড নতুন একটি গ্যাস কূপ খনন করছে

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: ডিসেম্বর - ৩১ - ২০২২ | ৬: ১৬ অপরাহ্ণ

সিলেট গ্যাস ফিল্ড

সিলেট সংবাদ:: সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল) রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে আরেকটি অনুসন্ধান কূপ খনন করতে যাচ্ছে। “রশিদপুর-১১ কূপ খনন (অনুসন্ধান কূপ) নামে অভিহিত এই প্রকল্পে ২৩৩ কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। প্রাথমিকভাবে, প্রকল্পটির ৯৫% অর্থায়ন করবে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ), বাকি ৫% কোম্পানির নিজস্ব তহবিল থেকে আসার কথা থাকলেও, বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে সরকারী তহবিল (জিওবি) দ্বারা অর্থায়ন করা হবে৷ এ লক্ষ্যে নতুন ডিপিপি (উন্নয়ন পরিকল্পনা) তৈরি করে অনুমোদনের জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়, পেট্রোবাংলা ও এসজিএফএলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রটি সিলেটের  হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে অবস্থিত।

এসজিএফএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, এই প্রেক্ষাপটে আমরা নতুন বছরে রশিদপুর-১১ অনুসন্ধান কূপ খননের প্রকল্প হাতে নেব। চলমান গ্যাস সংকট উত্তরণে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন কূপ খনন করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ মে রশিদপুর ১১ নম্বর অনুসন্ধান কূপ খননের জন্য এসজিএফএল ডিপিপির খসড়া তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পেট্রোবাংলায় পাঠায়। এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্টাল প্রজেক্ট ইভালুয়েশন কমিটির (ডিপিইসি) সভায় সিদ্ধান্ত হয় প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে সরকারের অর্থায়নে হবে। এছাড়াও, প্রকল্পের মেয়াদ দেয়া হয় দুই বছর, ১ জানুয়ারী, ২০১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ পর্যন্ত। ডিপিইসির এই সিদ্ধান্তের আলোকে এসজিএফএল আবারও ডিপিপি প্রস্তুত করেছে। নভেম্বরে কোম্পানির সর্বশেষ বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর নতুন ডিপিপি পেট্রোবাংলায় পাঠানো হয়। পেট্রোবাংলার ডিপিপি পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়

সম্পূর্ণভাবে সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ও জিডিএফের ১ হাজার ৩১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকার অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কোম্পানিটি যে সাতটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তার তুলনায় এই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জিডিএফ, জিওবি ও এডিবির (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) এর কাছে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০ কোটি ৮৮ লাখ টাকার অর্থবছরের জিওবি এবং এডিবি ঋণের সুদ সহ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোম্পানির দ্বারা উৎপাদিত গ্যাস এর ওয়েলহেডের মোট মুনাফা শূন্য দশমিক ২০২৮ কিউবিক মিটার। এটি দ্বারা তার পরিচালন ব্যয় নির্বাহ করে এবং গ্যাস বিক্রির আয় থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করে। এক্ষেত্রে জিডিএফ ও কোম্পানির অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের সার্বিক আর্থিক ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে

আরো সংবাদ