Search
Close this search box.

সিলেটে দিন দিন বাড়ছে থ্যালাসেমিয়ার রোগীর সংখ্যা

সিলেটে দিন দিন বাড়ছে থ্যালাসেমিয়ার
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথনিউজ২৪:: থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনের ত্রুটির কারণে হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। সারা দেশে অনেক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত এবং সিলেটেও এর ব্যাপকতা রয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ন্যাশনাল থ্যালাসেমিয়া সার্ভে ২০২৪’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সিলেট বিভাগে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলেটে দিন দিন থ্যালাসেমিয়ার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বিবিএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে দেশে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাহকের সংখ্যা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং পুরুষের সংখ্যা ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। এই জরিপটি ১৪ থেকে ৩৫ বছর বয়সী বিবাহিত ও অবিবাহিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিচালিত হয়েছে, যেখানে ৮ হাজার ৬৮০ জন অংশগ্রহণ করেছেন।

থ্যালাসেমিয়ার ধরন:

থ্যালাসেমিয়া প্রধানত দুই ধরনের হয়, আলফা থ্যালাসেমিয়া এবং বিটা থ্যালাসেমিয়া। আলফা থ্যালাসেমিয়া সাধারণত বিটা থ্যালাসেমিয়া থেকে কম তীব্র হয়। আলফা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির হয়, কিন্তু বিটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা অনেক বেশি।

থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণসমূহ:

রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিস, দেহে অতিরিক্ত আয়রন জমা হওয়া, সংক্রমণ, স্প্লিন বা প্লীহা বড় হয়ে যাওয়া, অবসাদ, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মুখের হাড়ের বিকৃতি বা মঙ্গলয়েড ফেসিস, শারীরিক বৃদ্ধি হ্রাস, পেট বাইরের দিকে প্রসারিত হওয়া, প্রস্রাব গাঢ় রংয়ের হওয়া, হৃদপিণ্ডের সমস্যা ।

থ্যালাসেমিয়ার কারণ:

ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন জিনের কারণে থ্যালাসেমিয়া হয়। যদি বাবা বা মা, অথবা উভয়ের থ্যালাসেমিয়া জিন থাকে, তাহলে এটি সন্তানের মধ্যে বংশানুক্রমে ছড়ায়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাবা এবং মা উভয়ের থ্যালাসেমিয়া জিন থাকলে সন্তানের শতকরা ২৫ ভাগ থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত