AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

কেরোসিনের ঘ্রাণই যেন তার প্রাণ!

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুন - ২৩ - ২০১৪ | ৭: ২২ পূর্বাহ্ণ

Sylhet-Pic-08.06.14-(1)

মোহাম্মদ আলী শিপন : বিশ্বনাথ উপজেলার আবদুর রহিমের বয়স এখন ত্রিশ ছুঁই ছুঁই। সেই ১০ বছর বয়স থেকেই অদ্ভুত এক অভ্যাসের দাস তিনি। ছোটবেলা থেকেই গড়ে ওঠেছে কেরোসিনের ঘ্রাণের সঙ্গে সখ্য।
যে কোনো কাজে গেলেও হাতে বয়ে নিয়ে যান কেরোসিনের পাত্র। ১০/১৫ মিনিট পর পর শুঁকে নেন ঘ্রাণ। হাটে-মাঠে, দৈনন্দিন কাজেও কেরোসিনের ড্রাম তার নিত্যসঙ্গী। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গেলেও কেরোসিনের ড্রামটি সঙ্গে নিতে ভুলে না সে। কোরোসিনের ঘ্রাণই যেন তার প্রাণ।
আবদুর রহিমের এ অভ্যাস অনেক মানুষের কৌতূহলের কারণ হলেও এ থেকে বের হতে চান তিনি। কিন্তু পারছেন না। কেরোসিনের ঘ্রাণের জালে রহিম আটকা আছেন ২০ বছর ধরে। সময় মতো ঘ্রাণ না নিলে যেন তার দম বন্ধ হয়ে আসে। প্রতি ১০-১৫ মিনিট পর পর ঘ্রাণ না নিলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাই কেরোসিন ভর্তি ৫ লিটারের একটি ড্রাম তার নিত্যসঙ্গী। কিছুক্ষণ পর পর সঙ্গে থাকা ড্রামটিতে নাকমুখ লাগিয়ে গন্ধ নিতে থাকে আবদুর রহিম। নইলে স্বাভাবিক কাজও থমকে যায়।

তবে ভয়াবহ এ অভ্যাস থেকে পরিত্রাণ চান আবদুর রহিম। তিনি বলেন, ‘অনেকবার এ অভ্যাস ছাড়ার চেষ্টা করেছি। ছাড়তে পারছি না। আমি স্বাভাবিক জীবন চাই।’
স্থানীয় চিকিৎসক শিবলী খান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘কেরোসিনের ঘ্রাণ নেওয়া মাদকের নেশার মতোই। তাকে কোনো মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা করালে হয়ত সুস্থ-সুন্দর জীবনে ফিরে আসতে পারে।’
উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের আমেরগাঁও গ্রামের মৃত সিদ্দীক আলীর তৃতীয় ছেলে রহিম। নাম দস্তখত জানা আবদুর রহিম একজন কৃষিজীবী।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আবদুর রহিম কেরোসিনের গন্ধ শুঁকে আসছে। এটা শুঁকতে এলাকার অনেকেই তাকে বাধা দিলে সে মানতে নারাজ। কথা শোনেনি কারো।
আবদুর রহিম বলেন, ‘আর্থিক অস্বচ্ছলতা থাকায় চিকিৎসা করাতে পারছি না। কবে যে এ নেশা থেকে মুক্তি পাব।

আরো সংবাদ