AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

চিকিৎসা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন টিএইচও আব্দুর রহমান!

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: মে - ১০ - ২০২০ | ৯: ১১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩য় রোগী হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমকর্তা (টিএইচও) ডাঃ আবদুর রহমান মুসা। করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এমনটাই ধারনা করা হচ্ছে।

টিএইচও ডাঃ আব্দুর রহমান মুসা জানান, গত ২৫ এপ্রিল প্রসব ব্যাথা নিয়ে বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের ঘুড়াইল গ্রামের শান্তি রাণী মালাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে তাকে (শান্তি) চিকিৎসা প্রদান করেন তিনি (মুসা)। তখন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শান্তি রাণীকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এরপর ৩ মে শান্তি রাণী করোনায় পজেটিভ হলে আব্দুর রহমান মুসা নিজের থেকেই ৪মে নিজের নমুনা টেস্টের জন্য প্রেরণ করেন। আর আজ রোববার(১০ মে) সেই নমুনার রিপোর্ট আসে করোনা পজেটিভ হিসেবে।

ধীরগতিতে হলেও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বাড়ছে করোনা সনাক্তের সংখ্যা। পূর্বের ২ জন করোনা পজেটিভ হওয়া রোগীর সাথে রোববার সংখ্যাটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩ জনে। আর এবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমকর্তা ডাঃ আবদুর রহমান মুসা। গত ৪মে তিনি সেচ্ছায় শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান। আর রোববার সকালে সেই নমুনা টেস্টের রিপোর্ট আসে করোনা পজেটিভ। করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসার পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবদুর রহমান মুসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে তার শরীরে করোনার কোন উপসর্গ নেই। আর নমুনা টেস্টের পূর্ব থেকেই তিনি হাসপাতালে অবস্থান করছেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এপর্যন্ত বিশ্বনাথ উপজেলার ৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্ট করা হলে ৩ জনের রিপোর্ট আসে করোনা পভেটিভ হিসেবে। এরমধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও একজন শিশু। আর ১৫জনের রিপোর্ট এখনও আসেনি। বাকীগুলোর রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ।

নমুনা টেস্টের রিপোর্ট আসার ভিত্তিতে গত ৩মে বিশ্বনাথের প্রথম করোনা রোগী হিসেবে সনাক্ত হন উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ঘুড়াইল গ্রামের সুমন মালাকারের স্ত্রী শান্তি রাণী মালাকার (২০), ৮মে দ্বিতীয় করোনা রোগী হিসেবে সনাক্ত হন একই ইউনিয়নের বৈরাগীবাজারের পল্লীচিকিৎসক সুকুমার দাশের নাতনী শ্রাবন্তী রাণী দাশ (১০)। এরপূর্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৮ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন সুকুমার দাশের পুত্র সবুজ দাশ। আর রোববার দ্বিতীয় করোনা রোগী হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবদুর রহমান মুসা।

আরো সংবাদ