হামজা-সোহেলের গোলে ভুটানকে হারিয়ে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

Ayas-ali-Advertise
হামজা-সোহেলের গোলে ভুটানকে হারিয়ে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়
হামজা-সোহেলের গোলে ভুটানকে হারিয়ে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়। ছবি সংগৃহীত।
হামজা-সোহেলের গোলে ভুটানকে হারিয়ে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়
হামজা-সোহেলের গোলে ভুটানকে হারিয়ে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়। ছবি সংগৃহীত।
Facebook
Twitter
WhatsApp

পাঁচ বছর পর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরে এসেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল। আর সেই প্রত্যাবর্তন রাঙিয়ে দিল বাংলাদেশের দুর্দান্ত এক জয়ে। ভুটানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর অভিষেক গোল এবং সোহেল রানার চমৎকার ফিনিশিংয়ে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী হয়েছে।

এই ম্যাচে দুই নতুন ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে—ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী এবং ইতালি ভিত্তিক ফরোয়ার্ড ফাহমিদুল ইসলাম। জামাল ভূঁইয়া ও হামজার সমন্বয়ে বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য নতুন আশা তৈরি করেছে, যা বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মনে নতুন প্রত্যাশা জাগিয়েছে।

খেলা শুরু হতেই বাংলাদেশ ৬ মিনিটের মাথায় গোল করে ফেলে। জামাল ভূঁইয়ার কর্নার কিক থেকে নিখুঁত হেডে গোল করেন হামজা চৌধুরী। দেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচেই গোল করে তিনি দর্শকদের মন জয় করেন।

প্রথমার্ধে আরও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ, বিশেষত ফাহমিদুলের গতির কারণে ভুটানের রক্ষণভাগ ছিল অনেকটা বিপদে। তবে গোল আর আসেনি। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা তিনটি পরিবর্তন করেন। জামাল, হামজা এবং কাজেম শাহকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান হৃদয়, মোরসালিন এবং ইব্রাহিম। খেলা পুনরায় শুরু হলে সোহেল রানা দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন। তার গোলটি ছিল নিখুঁত সময়ে নিখুঁত সিদ্ধান্তের প্রতিফলন।

এরপরও রাকিব হোসেনের একটি খালি পোস্টে গোল মিস এবং ফাহমিদুলের আরেকটি সম্ভাবনাময় ক্রস থেকে গোল না পাওয়া কিছুটা হতাশা সৃষ্টি করলেও, ম্যাচের দখল ছিল পুরোপুরি বাংলাদেশের। ফাহমিদুল মাঠ ছাড়ার পর গতি কিছুটা কমলেও, শেখ মোরসালিন, ফাহিম এবং ইব্রাহিমদের চেষ্টায় আক্রমণের ধার অব্যাহত থাকে।

৭৬ মিনিটে ভুটান একটি সুযোগ পায় কর্নার থেকে। তবে সেলটব দর্জির হেড পোস্টের বাইরে চলে যায়। ইনজুরি সময়ে ভুটানের নামগয়ালের কাছ থেকে গোল হজমের শঙ্কাও ছিল। তবে মিতুল মারমা দুর্দান্ত এক সেভে ক্লিনশিট নিশ্চিত করেন। পুরো ম্যাচে তাকে বড় কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। তবে শেষ মুহূর্তের সেভে তার দক্ষতা প্রমাণিত হয়।

এই ম্যাচে কোচ ক্যাবরেরা মোট ছয়টি পরিবর্তন করেছেন, যা সাধারণত ফিফা অনুমোদিত প্রীতিম্যাচে দেখা যায় না (সাধারণত ৫ বদলের অনুমতি থাকে)। তবে সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে স্কোয়াড পরখ করার উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছিল।

নতুনদের সাফল্যের পাশাপাশি পুরনোদের পারফরম্যান্সও ছিল আশাব্যঞ্জক। হামজার গোল, ফাহমিদুলের গতি এবং সোহেলের গোল—সব মিলিয়ে বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রত্যাবর্তন ছিল রঙিন।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪