বালাগঞ্জ গ্রামবাসী ও সরকারি অর্থায়নে ঈদগাহ মাঠ সংস্কার, নামফলকে চেয়ারম্যানের আত্মীয়

Ayas-ali-Advertise
বালাগঞ্জ গ্রামবাসী ও সরকারি অর্থায়নে ঈদগাহ মাঠ সংস্কার, নামফলকে চেয়ারম্যানের আত্মীয়
বালাগঞ্জ গ্রামবাসী ও সরকারি অর্থায়নে ঈদগাহ মাঠ সংস্কার, নামফলকে চেয়ারম্যানের আত্মীয়।
বালাগঞ্জ গ্রামবাসী ও সরকারি অর্থায়নে ঈদগাহ মাঠ সংস্কার, নামফলকে চেয়ারম্যানের আত্মীয়
বালাগঞ্জ গ্রামবাসী ও সরকারি অর্থায়নে ঈদগাহ মাঠ সংস্কার, নামফলকে চেয়ারম্যানের আত্মীয়।
Facebook
Twitter
WhatsApp

বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের পৈলনপুর গ্রামবাসী ও সরকারি অর্থায়নে স্থানীয় শাহী ঈদগাহ সংষ্কার কাজের নামফলকে অর্থায়নে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের এক নিকট আত্মীয়ের নাম লিখা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে ঈদগাহ মাঠ সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা পূর্বপৈলন পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শিহাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসী শতাধিক লোকের সাক্ষরিত একটি অভিযোগ বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ পত্রে জানাযায়, পৈলনপুর জামে মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির পক্ষে সেক্রেটারীর নামে রেজিস্ট্রিসহ রেকর্ড করা উক্ত ঈদগাহ মাঠ।কয়েক মাস আগে ইউ/পি চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিনের দায়িত্বে ঈদগাহ মাঠ সংস্কার কাজের উদ্যােগ গ্রহন করা হয়।

সংস্কার কাজে অর্থায়ন করেন গ্রামের প্রবাসী বিত্তবানরা এছাড়া সিলেট জেলা পরিষদ হতে প্রায় ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা অনুদান গ্রহন করা হয়। ঈদগাহ মাঠের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব থাকার সুবাদে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঈদগাহের প্রধান ফটকে সংস্কার কাজে নাম ফলকে এককভাবে তিনির চাচাত ভাই রানু মিয়া ধনাইয়ের নাম লিখান।

এ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জেরে গত ঈদুল ফিতরের জামাত আদায়ে ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিনের নির্দেশে রাসেল মিয়া ও সুমন আহমদ উক্ত ঈদগাহে বাধা নিষেধ করে যার ফলে পৈলনপুর গ্রাম এলাকার মুসল্লিরা স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে পূর্বপৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন ঈদগাহের মাঠ সংস্কারে সিলেট জেলা পরিষদ হতে প্রায় ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা অনুদান গ্রহনের বিষয় শিকার করে প্রবাসী গ্রামবাসীর অর্থায়ন অস্বীকার করে। সংস্কার কাজের নামফলক প্রসঙ্গে বলেন তিনির চাচাতো ভাই রানু মিয়া ধনাই ঈদগাহ মাঠ সংস্কারে প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছেন তাই স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার কাজের অর্থায়নে তিনির নাম লেখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযোগের প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত কুমার চন্দ উভয় পক্ষকে আইন শৃঙ্খলা মেনে চলার আহবান জানিয়ে। ঈদগাহ মাঠ প্রসঙ্গে বলেন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তকাজ চলমান রয়েছে।তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪