সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ উল্লেখ করে খ্যাতিমান শিল্পপতি, শিক্ষানুরাগী ও দানবীর ড. রাগীব আলী বলেছেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত সংবাদ পরিবেশন করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রাখছেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কল্যাণে রাষ্ট্রীয় কিংবা সামাজিকভাবে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তাই যত দ্রুত সম্ভব সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও সাংবাদিকদের কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিত।”
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে সিলেটের মালনীছড়াস্থ নিজ বাসভবনে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিশ্বনাথের কৃতিসন্তান, লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ার নেপথ্য ব্যক্তিত্ব ড. রাগীব আলী আরও বলেন, “আমার জন্মভূমি বিশ্বনাথ একটি ঐতিহ্যবাহী জনপদ। এখানকার বহু মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে এলাকাকে গৌরবান্বিত করেছেন। আগামী প্রজন্ম যাতে শিক্ষা-দীক্ষায় আরও উন্নতি লাভ করতে পারে, সে জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের আরও অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।”
তিনি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জনসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করায় ক্লাব সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং মানবতার সেবায় অবদানের জন্য দানবীর রাগীব আলীকে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে একটি সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এ সময় তিনি প্রেসক্লাবের প্রস্তাবিত ‘বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর তহবিলে এক লাখ টাকা অনুদান দেন এবং নিজ হাতে ফরম পূরণ করে ‘গোল্ডেন ট্রাস্টি’ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছহিফাগঞ্জ এস.ডি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রউফ, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জুবায়ের, সাবেক সভাপতি কবি মিজানুর রহমান মিজান, কাজী মো. জামাল উদ্দিন, তজম্মুল আলী রাজু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী শিপন, সদস্য মো. নুর উদ্দিন, আহমদ আলী হিরন, ফারুক আহমদ ও মাজহারুল ইসলাম সাব্বির।