সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন ধলা মিয়া (৫৫)। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সিএনজি স্ট্যান্ডের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি সভা’ ও ‘উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় কমিটি সভা’ শেষে নিজ গন্তব্যে ফেরার পথে কয়েকজন যুবক অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি কিছুটা আহত হন এবং হামলাকারীরা তার একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
হামলাকারীদের কেউ তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করতে পারেননি। ফলে ঘটনাটি দলীয় কোন্দল নাকি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বিদ্যমান বিরোধের জের ধরে ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় কবির হোসেন ধলা মিয়াকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়, যা এখনও বহাল রয়েছে। এছাড়া, লামাকাজী ইউনিয়নের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি ও পরিষদের বরাদ্দ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সদস্যের মধ্যে বিরোধও রয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
অতর্কিত হামলার বিষয়ে কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, “উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটি সভা ও মাসিক সমন্বয় কমিটি সভা শেষে ফেরার পথে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। বিএনপির দলীয় কোন্দলের জের ধরেই এ হামলা হয়েছে বলে আমি মনে করি। কারণ, এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে। হামলাকারীরা আমার একটি মোবাইল ফোনও নিয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “যে সভাগুলোতে ইউএনও ও ওসি উপস্থিত ছিলেন, সেই সভা শেষে ফেরার সময় যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে? বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা এখান থেকেই অনুমান করা যায়।”
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, “লামাকাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া মৌখিকভাবে বিষয়টি অবগত করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনন্দা রায় বলেন, “ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
আরোও বিশ্বনাথে পুকুরে ভেসে উঠল যুবকের মরদেহ।