সৎকাজে উৎসাহিত করা এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা—এটাই উম্মতের কর্তব্য। এই কর্তব্যের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা উম্মতকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, “তোমরা হচ্ছো সর্বোত্তম উম্মত, যাদেরকে মানুষের জন্য উত্থিত করা হয়েছে। তোমরা ভালো কাজের আদেশ দিবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখবে।” (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)
এছাড়া, প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য হল অন্যায়কে প্রতিবাদ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যারা অন্যায় দেখতে পাবে, তারা প্রথমে হাত দিয়ে তা ঠেকাবে, যদি না পারে তবে মুখ দিয়ে এবং যদি তাও না পারে অন্তরে ঘৃণা করবে; এটি দুর্বল ঈমানের লক্ষণ।” (বুখারি)
যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা না হয়, তার ফলস্বরূপ গোটা জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেজন্য সমাজে কোনো ধরনের অন্যায় ঘটে গেলে তা সমবেতভাবে প্রতিহত করা অত্যন্ত জরুরি।
তবে বর্তমান সমাজে অনেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চায় না, তারা শুধু চোখের সামনে ঘটে যাওয়া অন্যায় এড়িয়ে চলে। এটি তাদের কাছে অযথা ঝামেলা মনে হয়, কিন্তু এতে তারা অজান্তেই জাতির জন্য আরো বড় বিপদ ডেকে আনে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন মানুষ অন্যায় দেখেও তা প্রতিহত করবে না, তখন আল্লাহ তাদের ওপর দ্রুত শাস্তি নাজিল করবেন।” (তিরমিজি ও আবু দাউদ)
সমাজে অপরাধ নির্মূল করতে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বিকল্প নেই। অপরাধ তখনই বৃদ্ধি পায়, যখন অপরাধীরা বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যায়। এজন্য মহান আল্লাহ সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ! ন্যায়বিচারে অটল থাকো, আল্লাহর পক্ষে সাক্ষ্য দাও, যদি সেটি তোমাদের পক্ষের বিরুদ্ধে হয় বা পরিবারের কোনো সদস্যের বিপক্ষে যায়, আল্লাহই উত্তম অভিভাবক।” (সুরা : আন-নিসা, আয়াত : ১৩৫)
এ আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, বিচার করার সময় কোনো পক্ষপাতিত্ব বা ব্যক্তিগত স্বার্থ যেন প্রভাবিত না করে, কারণ এগুলো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়।
আরও পড়ুন:: যে কারণে ফিরাউনের স্ত্রী হয়েও স্থান পেলেন জান্নাতে।