ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। নতুন করে ইইউর তৈরি করা এ তালিকায় বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও ছয়টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত অন্য দেশগুলো হলো—ভারত, মিসর, কসোভো, কলম্বিয়া, মরক্কো ও তিউনিশিয়া।
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, এই দেশগুলোকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে চিহ্নিত করে অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে এসব দেশের নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণে নতুন ধারা তৈরি হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজনৈতিক বা সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণ দেখিয়ে যেসব বাংলাদেশি ইউরোপে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন তাদের জন্য প্রক্রিয়াটি আরও কঠিন হয়ে উঠবে। নিরাপদ দেশ হিসেবে স্বীকৃতির কারনে এমন আবেদনগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস পাবে এবং তা দ্রুত নিষ্পত্তির সুযোগ তৈরি হবে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। তাদের আশঙ্কা, আশ্রয়ের আবেদনগুলো দ্রুত বাতিলের ঝুঁকি বেড়ে যাবে এবং বহু অভিবাসী নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর মুখে পড়তে পারেন।
ইইউর শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেন, “ইইউর বিভিন্ন দেশে বিপুল সংখ্যক আশ্রয় আবেদন জমা হয়েছে। আমরা চাই এসব আবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হোক এবং নিরাপদ দেশের তালিকা সেই লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে।”
ইউরোপে গত কয়েক বছর ধরে অভিবাসন ইস্যু ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। অনেক দেশেই অভিবাসন বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটেছে। সেই বাস্তবতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।
ইইউ আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে তাদের সদস্যপদ প্রত্যাশী দেশগুলোকেও এই তালিকায় যুক্ত করা হবে। আর একবার কোনো দেশ তালিকাভুক্ত হলে, তাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।
আরও পড়ুন:: প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে মিয়ানমার।