যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক নারী সাহসিকতা পুরস্কার ‘ব্যক্তিগতভাবে’ প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলাদেশে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা
শনিবার (২৯ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক বার্তায় এই ঘোষণা দেন তিনি। উমামা বলেন, “নারীদের সম্মিলিত স্বীকৃতি অবশ্যই সম্মানজনক, তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বর হামলার সমর্থন জানিয়ে পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বিগত সরকারের সহিংস দমননীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন নারীরা। তারা অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুরুষ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন এবং ইন্টারনেট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সেন্সরশিপের বাধা অতিক্রম করে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।
এ কারণে, আন্তর্জাতিক নারী সাহসিকতা পুরস্কারের অংশ হিসেবে ‘ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারীরা। আগামী ১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
তবে উমামা ফাতেমা তার বার্তায় উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি এই পুরস্কার ‘ব্যক্তিগতভাবে’ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি লেখেন, “ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি।”