সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় ধর্ষণের চেষ্টা থেকে বাঁচতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছে (১৬) বছর বয়সী এক কিশোরী। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিরাই উপজেলায় ঘটেছে। আহত মেয়েটি বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ডান চোখ, কপাল গাল এবং হাতের অংশে গুরুতর আঘাত পেয়েছে।
পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি বৃহস্পতিবার দুপুরে কিছু কাপড় কিনতে দিরাই পৌর শহরে আসে। তার সঙ্গীরা কেনাকাটা শেষ করে চলে যাওয়ার পর মেয়েটি বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে একটি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে ওঠে। তখন বেশ কিছু লোক বাসস্ট্যান্ডে ছিল। কিছুক্ষণ পর দুজন যুবক অটোরিকশায় ওঠে এবং গাড়ি চালিয়ে নেয়।
যাত্রার কিছু সময় পর মেয়েটি লক্ষ্য করে যে অটোরিকশাটি সুনামগঞ্জ শহরের দিকে যাচ্ছে। তখন সে চালককে থামাতে বলে। কিন্তু ওই সময় দুজন যুবক তাকে আক্রমণ করে মুখ চেপে ধরে এবং মুঠোফোন কেড়ে নেয়। মেয়েটি তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে কোনো রকমে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সুনামগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
মেয়েটির বাবা জানান, “আমার মেয়ে কাপড় কিনতে এসে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেনি। আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। পরে আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর পাই সে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আমি গরীব, কিছুই বুঝতে পারছি না, কী করবো?”
এ ঘটনায় দিরাই থানা পুলিশ সিএনজি চালক ইমন খান ও যাত্রী মিটু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। তারা দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের জকিনগর গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) জাহিদ জানান, “ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং ভিক্টিমের কাছ থেকে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সিএনজি চালক ও যাত্রীকে প্রযুক্তির সাহায্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
আরও পড়ুন:: জগন্নাথপুরে ভুয়া মেজর সেজে প্রতারণা, দম্পতি আটক।
