অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমে ওয়েজ বোর্ড ব্যবস্থা বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেন, “গণমাধ্যমে অর্থনৈতিক মডেল হিসেবে ওয়েজ বোর্ডের সিস্টেমটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত, বরং সেখানে ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা উচিত।”
রোববার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ: গণমাধ্যম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক একটি সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এই সংলাপের আয়োজন করে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরো বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মিডিয়া জনগণের পক্ষে কথা বলেনি, বরং কিছু ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে, যার কারণে বলা হয়—কিছু মিডিয়ার হাতে রক্ত রয়েছে।” তিনি গণমাধ্যম কমিশনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন এবং বলেন, “এটি সাংবাদিকদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করার জন্য কাজ করবে এবং একটি ভালো রিপোর্ট তৈরি করবে।”
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে এবং ভয়ের পরিবেশ ছাড়া রিপোর্ট করতে হবে, যাতে তাদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে। “সাংবাদিকদের সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে, যাতে কারো জীবন নষ্ট না হয়। সাংবাদিকদের অধিকার যেমন রয়েছে। তেমনি জনগণেরও অধিকার রয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সাংবাদিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করা জরুরি। কন্টেন্ট চুরি বন্ধ করা উচিত এবং কপিরাইট আইন আরও কঠোর করা প্রয়োজন। কন্টেন্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে। কারণ কন্টেন্ট নিরাপত্তার অভাবে সাংবাদিকরা ন্যায্য বেতন পায় না।
শফিকুল আলম আরও উল্লেখ করেন, সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি নতুন ধরনের ইউনিয়ন গঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যারা সত্যিকার অর্থে সাংবাদিকদের মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করবে।
সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ, সিজিএস চেয়ার মুনিরা খান, নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বাসসের মাহবুব মোর্শেদ, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল প্রমুখ।
আরোও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তন, নতুন নাম যমুনা রেল সেতু