বিশ্বনাথে দো’কা’ন প’রিচালকের উপর হা’ম’লা, ৫ জনের বিরুদ্ধে মা’ম’লা

Ayas-ali-Advertise
বিশ্বনাথে দো'কা'ন প'রিচালকের উপর হা'ম'লা।
বিশ্বনাথ থানা। ফাইল ছবি।
বিশ্বনাথে দো'কা'ন প'রিচালকের উপর হা'ম'লা।
বিশ্বনাথ থানা। ফাইল ছবি।
Facebook
Twitter
WhatsApp

সিলেটের বিশ্বনাথ পুরান বাজারে রহিম ব্রার্দাসের পরিচালকের উপর হামলার ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন রহিম ব্রার্দাসের মালিক রহিম উদ্দিন। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার নং ১৪। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন পৌর এলাকার পূর্ব মন্ডলকাপন গ্রামের মৃত আরমান আলীর পুত্র এমরান আহমদ লিটন, মৃত ফরমান আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন, হেলাল মিয়া, হেলাল মিয়ার পুত্র আলী হোসেন এবং জয়নাল আবেদীনের পুত্র কামরান।

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন যে, মামলার অভিযুক্তরা আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী, দখলবাজ, সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের বিশ্বনাথ পুরানবাজারে লন্ডন প্রবাসী মো. মিজু আহমদের ভাড়া দেওয়া দোকানে “রহিম ব্রার্দাস” নামে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। প্রবাসী মিজু আহমদ অভিযুক্ত ১ নম্বর এমরান আহমদ লিটনের সৎ ভাই হওয়ায়, লিটন প্রায়ই তার কাছে টাকা দেওয়ার দাবি করে আসছিলেন। প্রবাসী মিজু আহমদ তাকে টাকা না দেওয়ার জন্য বলার পর থেকে অভিযুক্তরা বাদীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে।

ঘটনার দিন ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টায়, অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকানে এসে পরিচালক গিয়াস উদ্দিনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। গিয়াস উদ্দিন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ২ নম্বর অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের নির্দেশে ১ নম্বর অভিযুক্ত এমরান আহমদ লিটন রামদা দিয়ে গিয়াস উদ্দিনের মাথায় আঘাতের উদ্দেশ্যে কোপ মারেন। গিয়াস উদ্দিন বাম হাতে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আঘাত তার হাতে পড়ে, ফলে তিনি রক্তাক্ত জখম হন।

অন্যান্য অভিযুক্তরা গিয়াস উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আহত করেন। পরে অভিযুক্তরা দোকানের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি করেন। ৫ নম্বর অভিযুক্ত কামরান দোকানের ক্যাশ থেকে ৭৫ হাজার ৭৩০ টাকা চুরি করে নিয়ে যান।

গিয়াস উদ্দিনের চিৎকার শুনে বাজারের আশপাশের ব্যবসায়ীরা এবং উপস্থিত লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং তাকে রক্ষা করেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাদী তৎক্ষণাৎ দোকানে এসে পুরো ঘটনা সম্পর্কে অবগত হন। সাক্ষীদের সহযোগিতায় আহত গিয়াস উদ্দিনকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেন। এ ঘটনার বিষয়ে তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বাজার কমিটিকে অবহিত করেন।

সর্ম্পকিত খবর: বিশ্বনাথে দোকান ভাড়া চাইতে গিয়ে হামলার শিকার দোকান মালিক, গ্রেপ্তার ১

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমাদের ওসি সাহেবসহ সবাই অবগত। আমাদের বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি একজন ব্যবসায়ী এবং বিশ্বনাথবাসী জানেন আমরা কী ধরনের মানুষ। আমার ছেলে লেচু মিয়া, যে স্কুলে পড়াশোনা করছে, তাকেও মামলার আসামী করা হয়েছে। আমার ভাইকেও মামলার আসামী করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। এই মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা যেন প্রত্যাহার করা হয়।”

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুবেল মিয়া জানান, মামলাটি তদন্তাধীন এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪