সিলেট সংবাদ ডেস্ক:: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কয়েকদিনের অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে ১৫ আগস্ট থেকে আদালত ও থানার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সিলেটসহ সারা দেশে, শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়। সিলেটে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে বিভিন্ন আদালত ও থানায়।
সর্বশেষ তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীকে আসামি করা হয়। যিনি গত দ্বাদশ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, যার ফলে তিনি সমালোচনার শিকার হন। প্রথমদিকে তাঁকে মামলা থেকে বাদ দিলেও শেষ পর্যন্ত একটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাঁর নাম আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।
জানা যায়, ৪ আগস্ট সিলেটের জিন্দাবাজার এলাকায় ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন মো. ইমরান আহমদ। এই মামলায় মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীসহ ৬০ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :: সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীসহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মা’মলা দায়ে’র
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সিলেট-১ এর সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মোমেন, সিলেট-২ এর শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ এর হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট-৪ এর ইমরান আহমদ, সিলেট-৫ এর হাফিজ আহমদ মজুমদার, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আহমদ আল কবির, সিলেট-৬ এর নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিএমএ নেতা ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারোয়ার হোসেন, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান আহমদ চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-১ এর সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, গোয়াইনঘাট ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফজলুল হক, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, কানাইঘাটের মোস্তাক আহমদ পলাশ, লেঙ্গুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য সুভাষ দাস, সিলেট চেম্বার সভাপতি তাহমিন আহমদ, জেলা পরিষদের ফয়সল আহমদ, বৈচিত্রময় সিলেটের সম্পাদক আবুল কাশেম রুমন।
