AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে প্রবাসী পরিবারকে ডাবল বরাদ্দ নিয়ে তোলপাড়

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: ডিসেম্বর - ১১ - ২০২২ | ৪: ৩৩ অপরাহ্ণ

ডাবল বরাদ্দ

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: অসহায়, গরীব অসচ্ছল পরিবারকে সরকারি টিউবওয়েল (গভীর নলকুপ) বরাদ্দ দেওয়ার কথা থাকলেও সিলেটের বিশ্বনাথে ঘটছে এর উল্টোটা। বিশ্বনাথের এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিবারকে এক সঙ্গে দুটি ডিপ টিউবওয়েল উপহার হিসেবে দিয়েছেন সিলেট ২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। এনিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সচেতন মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে, ওই প্রবাসী পরিবারকে কোন টিউবওয়েল বরাদ্দ দেয়া হয়নি এমনটাই দাবি করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।

স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালকে দেওয়া বক্তব্যে এমপি মোকাব্বির খান বলেন, আমি কোন প্রবাসীকে টিউবওয়েল বরাদ্দ দেইনি। একজন মহিলা ও ১০/১২জন কলোনীর অসহায় মানুষ নিয়ে আমার কাছে আসলে আমি টিউবওয়েল বরাদ্দ দেই।

জানা গেছে, স্থানীয় মুফতিরগাঁও গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবিদ আলী উরফে আকদ্দুছ আলীর চাচী আমিরুন নেছা ও তার কলোনীর ভাড়াটিয়ে মনোয়ারা বেগমের নামে দুটি টিউবওয়েল (গভীর নলকুপ) বরাদ্দ হয়। আমিরুরন নেছার নামে বরাদ্দকৃত টিউবওয়েলটি স্থাপন করা হয়েছে পৌর শহরের টিএনটি রোডস্থ প্রবাসী আবিদ আলী গংদের ৩তলা বাসায় এবং মনোয়ারা বেগমের নামে বরাদ্দকৃত টিউবওয়েলটি স্থাপন করা হয়েছে মুফতিরগাঁও গ্রামস্থ আবিদ আলীর মালিকানাধিন কলোনীতে।

ওই দুটি টিউবওয়েল উৎকুচের বিনিময়ে স্থাপন করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ করেন আবিদ আলীর ভাগিনা ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন। তিনি বলেন,‘স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে দুটি টিউবওয়েল স্থাপন করেন আবিদ আলী। এতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রেী শেখ হাসিনা ও সরকারের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তপূর্ব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে আমি এমপি সাহেবের কাছে লিখিত আবেদন করেছি।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমিরুন নেছার নেছার নামে বরাদ্দকৃত টিউবওয়েলটি প্রবাসী আবিদ আলী গংদের বাসায় স্থাপন করা হয়েছে। আর টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করছেন আবিদ আলীর ৩য় স্ত্রী স্বপ্না বেগম ও বাসার ভাড়াটিয়ে পরিবারের লোকজন। আর মনোয়ারা বেগমের নামে বরাদ্দকৃত টিউবওয়েলটি আবিদ আলীর মালিকানাধিন কলোনিতে স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে আমিনরুন নেছা জানান, তিনি এমপির কাছে একটি টিউবওয়েল বরাদ্দ চাইলে তাকে টিউবওয়েল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্ত তার বাড়িতে টিউবওয়েল এর প্রয়োজন না থাকায় তিনি টিএনটি রোডস্থ আবিদ আলী গংদের বাসায় স্থাপন করেন। আবিদ আলীর বাসায় টিউবওয়েলটি স্থাপন করার কারণ জানতে চাইলে আমিরুন নেছা বলেন, ‘তাদের বাসার পাশেই আমার দোকানঘর রয়েছে। ভবিষ্যতে আমার ছেলেরা ওই দোকান ঘরের উপরে বাসা তৈরী করলে টিউবওয়েলের পানি আমরাও ব্যবহার করবো।’

মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আবিদ আলী কলোনীতে বসবাস করে আসছি। এখানে তিনি আমাকে স্থায়ীভাবে কিছু জায়গাও দেওয়ার কথা রয়েছে। তাই আমি এমপি সাহেবের কাছ থেকে টিউবওয়েল বরাদ্দ পেয়েছি। এজন্য কাউকে কোন টাকা দিতে হয়নি।’

এ ব্যাপারে আবিদ আলীর ৩য় স্ত্রী স্বপ্না বেগম কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখব। এখানে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তারপরেও কেউ টাকা নিয়ে থাকলে আমি আইনীভাবে ব্যবস্থা নিব।

আরো সংবাদ