সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন- ইসলাম ধর্মের নাম নিয়ে যারা ইসলাম এবং মুসলিম জাতিকে বিশ্বে কলুষিত করছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের এই মাতৃভূমি স্বাধীন হয়েছে। এখানে যারা বোমাবাজি করে দেশকে কুলষিত করতে চায় তাদেরকেও ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন- হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী  বঙ্গবন্ধু একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে বায়তুল মোকাররম মসজিদকে জাতীয় মসজিদে রুপান্তরিত করেন। কাকরাইল মসজিদ ও তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা দিয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও কুরআন তেলাওয়াত করে থাকেন। তিনি রাজনীতির মাধ্যমে দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। তার গতিশীল নেতৃত্বে বিশ্বে আজ বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০১৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সিলেট আলীয়া মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ড.মোহাম্মদ মাহমুদ ইকবাল, কামাল বাজার আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম মো. মনোওর আলী। বিচারকদের পক্ষ থেকে বক্তব্যে রাখেন শিশু একাডেমী সিলেটের সাবেক শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবুজ্জামান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমির আজম খাঁন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপার ভাইজার সৈয়দ জিয়াউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট ’র সহকারী পরিচালক শাহ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী শফিকুর রহমান । সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন-ত্রিশলক্ষ শহীদ ও দ্ইু লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি। দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধশালী করতে আজ সবাইকে স্ব অবস্থান থেকে নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

দেশ জাতির উন্নতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন কামাল বাজার আলীয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম মোহাম্মদ মনোওর আলী । পরে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিও -৫ প্রাপ্তদের মধ্যে সনদ ও ক্রেষ্ট তুলে দেওয়া হয়। -বিজ্ঞপ্তি