Search
Close this search box.

পদ্মা নদী থেকে ৬ লাশ উদ্ধার : একই পরিবারের ৭জন নিখোঁজ

59078_mawa

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রায় ২৫০ যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে গেছে একটি লঞ্চ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নারীসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। হতভাগ্য যাত্রীদের অনেকেই আপনজনের সাথে ঈদ কাটিয়ে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরছিলেন। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া লঞ্চঘাটের এক কিলোমিটার দূরে প™§া নদীতে সোমবার সকাল ১১ টায় এমএল পিনাক-৬ নামে ছোট আকারে লঞ্চটি ডুবে যায়। মাওয়ায় পদ্মার পাড়ে এখন স্বজনদের আহাজারি চলছে। ধারণ ক্ষমতার আড়াই গুণের বেশি প্রায় ২৫০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি পদ্মার কাওরাকান্দি ঘাট থেকে মাওয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। মাওয়া লঞ্চ ঘাটের সামান্য দূরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। ২৫০ যাত্রীর মধ্যে ১০০ যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান। এখনো নিখোঁজ আছেন প্রায় ১৫০ যাত্রী। ঘটনার পরপরই দুজনের লাশ উদ্ধার করে। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ার আরো চারজন যাত্রী মারা যায়। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ১২ জনকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

মৃতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন মাদারীপুরের শিবচরের হীরা আক্তার (২০), ফরিদপুরের ভাঙ্গার আবদুল আজিজ (৪৫), একই এলাকার কমল মন্ডল (২২), মাদারীপুরের বাতেন আলী (৪৫) ও মাদারীপুরের শিবচরের গার্মেন্টস কর্মী আনোয়ার হোসেন (২৫)।

ফায়ার সার্ভিস,  নৌবাহিনী ও বিআইডব্লিউটি’র ডুবরীরা ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে লাশ উদ্ধারে নামে। কিন্তু প্রবল স্রোতের কারণে তারা পানির নীচে লঞ্চ পর্যন্ত যেতে পারেননি। ডুবরীরা স্পিবোট নিয়ে ঘটনাস্থলে লাশের সন্ধান করছে।

এদিকে, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চে নিখোঁজ যাত্রীদের মধ্যে একই পরিবারের ৭জন ছিলেন।

এরা  হলেন, ফরিদা আক্তার সীমু (স্বামী) মোঃ রুবেল, বড় মেয়ে ফাইজা (৭) ছোট মেয়ে ফাতেহা (৩), সোবাহান মাতুব্বর (৩৫), তার স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তার (২৫) সন্তান ইভান (৫)। এদের বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। এদের চারটি মোবাইল ফোন নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এতে নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন। তারাসহ এলাকার অনেকেই নিখোঁজদের সন্ধ্যানে ছুটে গেছেন মুন্সীগঞ্জে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে নিখোঁজদের খোঁজ চলছে বলে জানান, নিহত পরিবারের মোহাম্মাদ মাতুব্বর ও আলেম মিয়া। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত  নিখোঁজ যাত্রিদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

আরও খবর