সিলেটের বিশ্বনাথে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে এক বিধবার ঘরে ঢুকে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিধবার নাম রাহেনা বেগম (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বিশ্বনাথ থানায় এসে একই গ্রামের নুরুজ আলীর ছেলে সাহেদ আলী (৩৫) ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন রাহেনা বেগম। মামলার নম্বর ১৬, তারিখ ১৯/১০/২০২৫।
মামলার এজাহারে রাহেনা বেগম উল্লেখ করেছেন, তার চাচাতো ভাই নুরুজ আলীর ছেলে সাহেদ আলী (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে তাকে ও তার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করে আসছেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি বসতঘরের রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। এ সময় সাহেদ আলী হাতে ধারালো দা নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন এবং মূল দরজার সিটকিনি বন্ধ করে দা দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে টাকা-পয়সা দাবি করেন।
বাদীর অভিযোগ, তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাহেদ আলী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা ২–৩ জন ঘরের পানির মোটর চালু করে দেয়, যাতে বাইরে থেকে কোনো শব্দ শোনা না যায়। পরে সাহেদ আলী দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথার ডান পাশে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। তিনি বাম হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও শাহাদাদ আঙ্গলে গভীর রক্তাক্ত জখম হয়।
চিৎকার শুনে তার মেয়ে সুমা আক্তার (২২) বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও দরজা বন্ধ থাকায় ঘরে প্রবেশ করতে পারেননি। এ সময় হামলাকারীরা পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় রাহেনা বেগম দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে মেয়ের কাছে আশ্রয় নেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাহেদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পান্না লাল দে বলেন, “মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।”
আরোও পড়ুন::: প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় বিশ্বনাথের আ.লীগ নেতা সিরাজ





