সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেছাচারিতা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবি করেছেন এলাকাবাসী। অপসারণ না করা হলে আগামী মাস থেকে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্বনাথ পৌর শহরের বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে “উপজেলাবাসী”র ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আনিসুজ্জামান খাঁন অভিযোগ করেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমনের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সার্বিক সেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট, ওষুধের ঘাটতি ও প্রশাসনিক অনিয়ম এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ফলে সাধারণ রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হছেন।
আনিসুজ্জামান খাঁন আরও বলেন, নারীদের জরায়ু-মুখের ক্যান্সার পরীক্ষা কর্মসূচিতে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন ডা. দেলোয়ার। একই মোবাইল নম্বর ও ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে কয়েক হাজার পরীক্ষার তথ্য দেখিয়ে তিনি পুরস্কারও অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এছাড়া, তিনি আরও অভিযোগ করেন, বেতন থেকে পার্সেন্টেজ নেওয়া, নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুষ, ওষুধ ক্রয়ে অনিয়ম, সরকারি মালামাল বিক্রি ও ভুয়া ভাউচার তৈরির মাধ্যমে ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমন ও অফিস সহকারী (ভারপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার) আলী আহমদ বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, “ডা. দেলোয়ার হাসপাতালের দায়িত্বে অবহেলা করে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখাকে অগ্রাধিকার দেন। ইচ্ছামত অফিসে আসেন, ফলে জরুরি বিভাগে প্রায়ই ডাক্তার অনুপস্তি থাকেন এবং কর্মচারীরাই দায়িত্ব পালন করেন।”
আনিসুজ্জামান খাঁন বলেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমনকে হাসপাতাল থেকে অপসারণ না করা হলে আমরা আগামী মাস থেকে কঠোর কর্মসূচি পালন করব।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্তি ছিলেন স্থানীয় সংগঠক বশির আহমদ, ব্যবসায়ী আব্দুস শহিদ, মনির আহমদ, রজু মিয়া, চমক আলী, রাজন খানসহ আরও অনেকে।







