দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা অবনতির দিকে গেছে বলে স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতদিন যেভাবে ছিল, সাম্প্রতিক কয়েক দিনের ঘটনায় তা কিছুটা খারাপের দিকে গিয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে আসে।”
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজবাড়ীর ঘটনায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “রাজবাড়ীর ঘটনা আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি। ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে এবং কারা এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন তা তখনই জানা যাবে।”
যাঁদের অবহেলা বা গাফিলতির কারণে ঘটনা ঘটেছে, তাদের দায়িত্বে রেখে কি সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “কারও অবহেলা বা গাফিলতি ছিল কি না, সেটা কেবল তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে। আগে থেকেই কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিলে তদন্তের গুরুত্ব নষ্ট হয়ে যেত। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে; আর কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।”
রাজবাড়ীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি থাকলেও কেন ‘মব’ ঠেকানো যায়নি এবং হাটহাজারীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে—এমন অভিযোগের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা কখনো ব্যর্থ হইনি। যারা এসব করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। বাস্তবে আমরা অনেকটাই অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। সমাজে ধৈর্যের অভাব তৈরি হয়েছে। তাই সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।”
আগামী নির্বাচনে এই ধরনের পরিস্থিতি জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা সৃষ্টি করবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে, তখন তাদের কেউ আটকাতে পারবে না। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে জনগণকে বাধা দেওয়ার মতো শক্তি কারোর নেই।”
আরোও পড়ুন:: রাজসাক্ষী মামুনের স্বীকারোক্তি: আন্দোলন দমন নিয়ে অনুতপ্ত ও লজ্জিত।