নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছহিফাগঞ্জ সুলতানিয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ১১০ বছর পর দাখিল থেকে আলিম স্তরে উন্নীত হয়েছে। গত ১ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় (কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ) এর সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম লুৎফুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আওতায় ছহিফাগঞ্জ সুলতানিয়া দাখিল মাদ্রাসাকে শর্ত সাপেক্ষে আলিম স্তরে পাঠদানের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ১৯১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা হয় ছহিফাগঞ্জ সুলতানিয়া মাদ্রাসা।
এদিকে ছহিফাগঞ্জ সুলতানিয়া দাখিল মাদ্রাসাকে আলিম স্তরের পাঠদানের অনুমতি প্রদান উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে মাদ্রাসা হলরুমে আলোচনা সভা, খতমে কোরআন, দোয়া ও শুকরিয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রউফ’র সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ফয়জুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোগলগাঁও দাখিল মাদ্রাসার প্রাক্তন সুপার মাওলানা আব্দুস সুবহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি তাহেরা নুসরাত জাহা চৌধুরী, ব্রিটিশ নেবি’র সাবেক কর্মকর্তা সিরাজ উদ্দিন, গোবিন্দগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আজিজ, সিরাজ উদ্দিন একাডেমীর সহকারী প্রধান শিক্ষক মকব্বির আলী, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি গোলাম রব হাসনু ও বাংলাদেশ পয়েটস্ ক্লাবের সভাপতি কবি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
সভায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি বিশ্বনাথ শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা তোফায়েল আহমদ, গভনির্ং বডির সদস্য ময়নুল ইসলাম চুনু, সাজ্জাদ আলী (সাবেক মেম্বার), গৌছ আহমদ বাবুল (সাবেক মেম্বার), কয়েছ আহমদ, এলাকার মুরব্বি মনোহর আলী, আব্দুল আহাদ, সফিক মিয়া, নুর রহমান, সামছুল আবেদীন কাছা, মাসুক মিয়া, আব্দুস শহিদ, মকবুল আলী সুবাহদার ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলিম স্তরের পাঠদানের অনুমতি প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী ও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমাদের এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো মাদ্রাসাটি আলিম স্তরে উন্নীত হবে। আজ আমাদের লালিত সেই স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত।’ মাদ্রাসার সুনাম অক্ষুন্ন রেখে সফলতার আরও শীর্ষে এগিয়ে নিতে সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।