বিশ্বননাথ নিউজ২৪:: চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের ইনিওস ইনস্টিটিউটের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চের পরিচালক অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে তাঁর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। আগে দেশের বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হত । কিন্তু এখন তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, “এখন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়।”
অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সারা বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি বন্ধ নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
টিমোথি ই. ওয়ালশ জানিয়েছেন অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এখন বিশ্বব্যাপী মহামারী, ।
তিনি আরও জানান, এটি এখনই বন্ধ না হলে ভবিষ্যৎ আরও বিশাল আকার ধারন করবে।
অক্সফোর্ডের অধ্যাপক তার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন যে “এর ফলে লাখ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে।”
এ সময় টিমোথি ই. ওয়ালশ এএমআর বিষয়ক গ্লোবাল লিডারস গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, কার্ডিওলজি, বক্ষব্যাধি, ক্যান্সার এবং নিউরোলজি সায়েন্স হাসপাতাল এর মতো বিশেষজ্ঞ হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। ।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কৃষি, মৌলিক বিজ্ঞান ও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষ করে ডক্টরেট, পোস্টডক্টরাল এবং গবেষণা ক্ষেত্রে ২০০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে, অক্সফোর্ডের অধ্যাপক ইনিওস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু-আইওআই ফেলোশিপের অধীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে রাজি হন।
এছাড়াও, টিমোথি ই. ওয়ালশ বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি এবং ইউকে পার্লামেন্টারি ককাসের মধ্যে এএমআর বিষয়ে একটি অংশীদারিত্বের প্রস্তাব করেন, যার প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দেন।
তাদের মধ্যে এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবও তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ্ উপস্থিত ছিলেন।