নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে রানী বেগম (৫০) নামে এক বিধবা ও তার ছেলে আসাদ মিয়াকে মারধর এবং তাদের দোকানকোটা ভাঙচুর ও দোকানের ক্যাশ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বনাথ থানায় এমন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই বিধবা। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হাজী আবদুল মন্নানের স্ত্রী।
অভিযুক্তরা হলেন রানী বেগমের সৎছেলে সামাদ মিয়া (১৯) ও চান্দশীরকাপন গ্রামের ফয়সল (৩৫)।
অভিযোগে রানী বেগম উল্লেখ করেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় সামাদ মিয়া আমার বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে আমারই কলোনীর একজন মহিলার গোসলের ছবি ধারণ করতে থাকে। সেটা দেখে ওই মহিলা চিৎকার করলে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ইউপি সদস্যের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে সামাদ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বলে বেড়ায় আমাকে ও আমার ছেলেকে ‘দেখে নেবে’।
এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় সামাদ মিয়া আবারও আমার বাড়িতে এসে ওই কলোনীর মহিলার ছবি ধারণ করতে চাইলে আমি বাধা দিই। এ সময় সে বাড়ি থেকে বের হয়ে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা ফয়সলকে নিয়ে ডেগার দিয়ে আমাকে ও আমার ছেলেকে আক্রমণ করে। সামাদ মিয়া তার হাতে থাকা হেমার দিয়ে আমার বাড়ির পার্শ্বের আমার ভাড়া দেওয়া সিমেন্টের দোকানে ভাঙচুর চালায় এবং তারা দোকানের ক্যাশ ভেঙ্গে ৫০ হাজার টাকাসহ দোকানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে এবং আমাকে ও আমার ছেলেকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। সবমিলিয়ে তারা আমার ১ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।’
রানী বেগম সাংবাদিকদের জানান, ‘আক্রমণের মাঝেও আমরা সামাদ মিয়াদের হাত থেকে একটি ডেগার, একটি হেমার ও একটি রড কেড়ে নেওয়ায় প্রাণে রক্ষা পাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হলে সামাদ মিয়া জানান, ‘মহিলার ছবি ধারণ, দোকান ভাঙচুর ও ক্যাশ লুটের অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। ওইদিন আমি আমার প্রাপ্য জায়গা উদ্ধারে গেলে আমাদের উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।’
লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া বিশ্বনাথ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নোয়াব আলী বলেন, ‘দোকানকোটা ভাঙচুর করা হয়েছে সত্য। অভিযোগকারীকে আগামিকাল সোমবার থানায় আসতে বলেছি। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।’