Search
Close this search box.

দেওকলস উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন

সুবর্ণজয়ন্তী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. জামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেছেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় চলমান বাণিজ্যের আড়ালে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে শিক্ষার্থীদেরকে বিনা বেতনে পাঠদান অব্যাহত রাখার মাধ্যমে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আজ (শনিবার) সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে ‘দেওকলস দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ’। এ অঞ্চলের প্রবাসী ও দানবীরদের কারণেই ওই মহৎ কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি স্মার্ট দেশে পরিণত হবে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষার্থীদেরকে আরো স্মার্ট শিক্ষা অর্জন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের শিক্ষাখ্যাতে ব্যাপক উন্নীতি হয়েছে। তাই এখন আমরা যারা অভিভাবক তাদেরকে আরো দায়িত্ব নিয়ে ছেলে-মেয়ে বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে, সঠিক শিক্ষা গ্রহন করছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্ণধার হবে।

তিনি শনিবার (২১ জানুয়ারী) বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের ‘দেওকলস দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ’র ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।

প্রথম অধিবেশন শুরুর পূর্বে উদ্বোধক হিসেবে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভারসিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। এরপর বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সমশীদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনে বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শুধাংশু শেখর তালুকদার, সিলেট সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন শিক্ষক মাওলানা নজরুল ইসলাম।

প্রতিষ্ঠানের গভনিং কমিটির সভাপতি আব্দুল গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা প্রধান শিক্ষক ও কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাশেম আলী।

বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এমএ রহিম, প্রাক্তণ শিক্ষার্থী প্রবাসী সেবুল খান, শামীম আহমদ, আফজাল খান।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কলেজ ফাউন্ডার প্রবাসী আজম খান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আব্দুল মোমিন মামুনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানগুলোতে প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় অধিবেশনের শেষের দিকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত ‘উচ্ছাস’ স্মারকের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ।

আরও খবর