বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমির ধান কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তোতা মিয়ার পক্ষে আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার নিকটাত্মীয় সোলেমান মিয়া।
অভিযুক্তরা হলেন- বাওপনপুর গ্রামের মৃত মানিক মিয়ার পুত্র মিন্টু মিয়া, মৃত আলকাছ আলীর পুত্র আব্দুল্লাহ, মখলিছ মিয়ার পুত্র আজাদ মিয়া, মৃত মানিক মিয়ার পুত্র রাজু আহমদ, হানিফ আলীর পুত্র মাসুক আলী, তমিজ আলীর পুত্র ফেরদৌস, ধলা মিয়া, মৃত ইন্তাজ আলীর পুত্র মোস্তফা মিয়া, মৃত মুজেফর আলীর পুত্র দুদু মিয়া, মৃত ইন্তাজ আলীর পুত্র সাদেক মিয়া, সিরাজ মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া, সাইফুর রহমান, মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র সিরাজ আলী, মৃত মরম আলীর পুত্র চান্দ আলী, মশ্রব আলী, মৃত সুরুজ আলীর পুত্র ফয়জুর রহমান, মশ্রব আলীর পুত্র বাছিক মিয়া, লায়েক মিয়া, চান্দ আলীর পুত্র হাবিবুর রহমান, নজর আলী।
অভিযোগ সূত্রে উল্লেখ করা হয়, বাওনপুর মৌজার (জেল নং-২৭) আর এস/বিএস ৩০৩ খতিয়ানের ১৯২৯, ১৯৩১, ১৯৩২ নং দাগে ০.৮৫ একর, একই মৌজার ৪০২ নং খতিয়ানের ১৩৬৫ ও ১৩৫৯ নং দাগে ০.২০ একর, ৪০৩ নং খতিয়ানের ১০৪৯, ১০৫১, ১০৫২, ১০৫৪, ১০৭৯, ১০৮১, ১০৮৪, ১০৮৫,১০৮৭, ১০৯০, ১০২১, ১১০০, ১১০৮, ১১১০, ১১১৬, ১১২১, ১১২২, ১১২৮, ১১৩৩, ১৩৫১, ১৩৫৪, ১৩৬০, ১৩৭০, ৭৯৭, ৮৯৩, ১০৪০, ৭৪৪, ৮০২, ৩৫৬, ৫৩৮, ৫৭৪, ৭৫১, ৩৪০ ও ৭৭৯ নং দাগে ১.০৬ একর, ৫২৮ নং খতিয়ানের ৭৬৭ নং দাগে ০.১৮ একর এবং ৫২৯ নং খতিয়ানের ৭৬৬ নং দাগে ০.০৪ একর ভূমি মৌরশী উত্তরাধিকারী ও খরিদ সূত্রে মালিক ও দখলপ্রাপ্ত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তোতা মিয়া। পরবর্তীতে তোতা মিয়াসহ অন্যান্য শরিকানগণ ভূমি আপোষ বন্টন এবং তোতা মিয়ার নামে উক্ত ভূমি নামজারী হলে তিনি তা ভোগদখল করে আসছেন।
মুক্তিযোদ্ধা তোতা মিয়া যুক্তরাজ্য অবস্থান করায় তিনি যাবতীয় জায়গা-জমি দেখাশুনা ও রক্ষণা বেক্ষণের জন্য তার নিকটাত্মীয় সোলেমান মিয়াকে আমমোক্তার নিযুক্ত করেন। একপর্যায়ে বিবাদীগণ ওই ভূমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তোতা মিয়ার পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়। বিবিধ মামলা নং- ৬২/২০২২।
ওই জমির ধান পেকে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলে ধান কাটার অনুমতি চেয়ে গত ৬ ডিসেম্বর আদালতে আবেদন করেন উভয় পক্ষ। এরই প্রেক্ষিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জমির ধান কেটে তা গোদামে সংরক্ষণ করতে ১৪৬ ধারা মোতাবেক স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নির্দেশনা প্রদান করেন আদালত। কিন্ত আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে অভিযুক্তরা জোরপূর্ব জমির ধান কেটে নিয়ে যান। এতে আপত্তি জানালে তারা বাদিও আমমোক্তার সোলেমান মিয়াকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেন। গত ২৬ ডিসেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট ৩য় আদালতে এই অভিযোগ করেন সোলেমান মিয়া।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিন্টু মিয়া বলেন, আদালতের নির্দেশে স্থানীয় মেম্বারের সহযোগিতায় আমরা ধান কেটেছি এবং তা মেম্বারের জিম্মায় রয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
এব্যাপারে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফজলুল হক বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি উভয় পক্ষকে জমির ধান না কাটতে বলেছিলাম। কিন্ত মিন্টু মিয়া পক্ষের লোকজন এই নির্দেশনা না মেনে জমির ধান কর্তন করেছেন। কর্তনকৃত ধান কোথায় আছে তা আমার জানা নেই।