AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথ থানার এসআই লতিফের বিবৃতি

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: ডিসেম্বর - ১২ - ২০১৯ | ১: ২৪ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) কয়েকটি জাতীয় ও সিলেটের স্থানীয় পত্রিকা, বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সোস্যাল মিডিয়ায় ‘‘ইয়াবা দিয়ে ছাত্রীদের ফাঁসানোর হুমকি এসআইয়ের, বিশ্বনাথে মাদক দিয়ে তিন কলেজ ছাত্রীকে জেলে ঢোকানোর হুমকি দারোগার, পুলিশের বিরুদ্ধে নারীর অভিযোগ এবং প্রধানমন্ত্রীও জানেন না লতিফের হাত কত লম্বা’’ শিরোনামে বিশ্বনাথ থানার এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত এসব সংবাদ সম্পূর্ন মিথ্যা, কাল্পনিক, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত দাবি করে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিবৃতি দিয়েছেন এসআই আব্দুল লতিফ।

গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ন মিথ্যা, কাল্পনিক, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তার পেশাদায়িত্বমূলক কাজকে কতিপয় লোক উদ্দেশ্যমূলক ও অতিরঞ্জিতভাবে পত্রিকা এবং সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করায় তার এবং পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।

গত ৫ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় থানার অফিসার ইনচার্জ তাকে (এসআই লতিফ) জানান, উপজেলার জানাইয়া গ্রামের আশিক আলীর ২য় স্ত্রী মনোয়ারা বেগম থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছেন তাহাকে এবং তার মেয়ে নাজমা বেগমকে (১৬) রাহেলা বেগম (আশিক আলীর ১ম স্ত্রী) মারপিট করতেছেন। ওই বিষয়টি তাৎক্ষনিক দেখার জন্য তাকে (লতিফ) নির্দেশ দেন ওসি। তাৎক্ষণিকভাবে সঙ্গীয় ফোর্সসহ এসআই লতিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্থানীয় আশেপাশের লোকজনও জড়ো হন। কিন্ত ইতিমধ্যে রাহেলা ও মনোয়ারা গংদের মধ্যকার মারামারি ও কথাকাটাকাটির বিষয়টি সাময়িকভাবে শেষ হয়। তখন আশিক আলী, তার ১ম স্ত্রী রাহেল বেগম এবং ২য় স্ত্রী মনোয়ারা বেগমসহ উপস্থিত লোকজনদের সাথে ওই বিষয়ে কথা বলেন লতিফ।

একপর্যায়ে আশিক আলী তাকে (লতিফ) জানান, রাহেলা বেগম ও মনোয়ারা বেগমদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই কথাকাটাকাটি ও ঝগড়া বিবাদ হয়। এরই জের ধরে আশিক আলী গত ৫ডিসেম্বর তার ১ম স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে এবং তার ২য় স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তার মেয়েকে সামান্য মারধর ও গালিগালাজ করেন। বিষয়টি তাদের পারিবারিক। তাই তারা নিজেরাই বসে ওই বিরোধটি সমাধান করে নিবেন বলে পুলিশকে জানান আশিক। তখন এসআই লতিফ পেশাদায়িত্বের সহিত কথাবার্তা বলে ঘটনাস্থল থেকে থানায় পৌছে বিষয়টি ওসি’তে অবহিত করেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার কারণে ওই দিনদুপুর দেড়টায় আশিক আলীর ১ম স্ত্রী রাহেলা বেগম গংরা ২য় স্ত্রী মনোয়ারা বেগম গংদের পুনরায় মারপিট করেন। এই সংবাদের ভিত্তিতে ওসি’র নির্দেশ পেয়ে তাৎক্ষণিক আবারও ঘটনাস্থলে যান লতিফ। তখন পুলিশের উপস্থিতিতেই রাহেলা বেগমের ছেলে ইমামুল ইসলাম (২৭) গংরা মনোয়ারা বেগম ও তার মেয়েকে পুনরায় মারার জন্য এগিয়ে আসেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এসময় সঙ্গীয় ফোর্সসহ লতিফ উপস্থিত স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় তাদেরকে নিবৃত করেন এবং তিনি উপস্থিত লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, প্রথমবার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার পর ‘কেন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল’ এই জন্য মনোয়ারা বেগমকে পুনরায় মারপিট ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন রাহেলা বেগম গংরা। তখন এসআই লতিফ আহত মনোয়ারা বেগমকে হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দেওয়ার কথা বললে আশিক আলী (রাহলে ও মনোয়ারার স্বামী) বিষয়টি পারিবারিক ভাবে নিস্পত্তি করে নিবেন বলে জানান। এরপর পুনরায় বিষয়টি সমাধান করার কথা বলে থানায় চলে আসেন লতিফ। ইতিপূর্বে গত ৪ ডিসেম্বর আশিক আলীর পরিবারের পারিবারিক বিরোধের সংবাদ পেয়ে থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনিও বিষয়টি সাময়িকভাবে নিস্পত্তি করে দিয়েছিলেন।

বিবৃতিতে এসআই লতিফ বলেন, আমি কখনো ঘটনাস্থলে গিয়ে রাহেলা বেগম ও তার ছেলে-মেয়েদেরকে ‘ইয়াবা দিয়া তোমাদেরকে ফাঁসিয়ে দিব’ অথবা ‘প্রধানমন্ত্রীও জানেন না, লতিফের হাত কত লম্বা’ এধরণের কোন কথা বলিনি। আমি পেশাদায়িত্বের সহিত কথাবার্তা বলেছি এবং আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আমি যে কথাগুলো বলেছি তা উপস্থিত স্থানীয় লোকজনদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। কিন্ত আমার একটি পেশাদায়িত্বমূলক কাজকে কতিপয় লোক সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও অতিরঞ্জিতভাবে পত্রিকা এবং সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে আমার এবং পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আরো সংবাদ