AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে বিষপানে বৃদ্ধের মৃত্যু : পরিবারের অভিযোগ হত‌্যা

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: নভেম্বর - ২৭ - ২০১৯ | ৬: ০৯ অপরাহ্ণ

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথে বিষপানে মুক্তার মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামের আব্দুল গণির পুত্র। তিনি বিষপান করে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

এদিকে, মুক্তার মিয়া নিজেই বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে তার পিতা ও ২য় স্ত্রী দাবি করলেও সন্তানরা অভিযোগ করছেন পারিবারিক কলহের জের ধরেই পরিকল্পতিভাবে বিষপান করিয়ে মুক্তার মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। এনিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের জনক মুক্তার মিয়া বছর খানেক পূর্বে তার স্ত্রী রাহেনা বেগম মারা গেলে কিছুদিন পর পার্শ্ববর্তী গ্রামের বিধবা জেসমিন বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে মুক্তার মিয়া ও তার ২য় স্ত্রী জেসমিন বেগমের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এনিয়ে পিতা-মাতা, ভাই-বোনর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল মুক্তার মিয়ার। বুধবার সকালে স্ত্রী জেসমিন বেগমের সাথে ঝগড়া হয় মুক্তার মিয়ার। ঝগড়ার পর বাড়ি থেকে স্থানীয় পনাউল্লাহ বাজারস্থ দোকানে চলে যান মুক্তার মিয়া। এরপর বাড়িতে ফিরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বসত ঘরে সামনে বিষপান করেন তিনি। তাৎক্ষণিক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টায় তিনি মারা যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

মুক্তার মিয়ার বড় ছেলে ছালেখ মিয়ার জানান- মুক্তার মিয়ার বোন ও ২য় স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বার সাইদুর রহমান। এবিষয়ে প্রতিবাদ করায় মুক্তার মিয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তার ভাই বাবুল মিয়া, সেবুল মিয়া, মেম্বার সাইদুর রহমান ও স্ত্রী জেসমিন বেগম। তারা তাকে (মুক্তার) প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদান করেন। ছালেখ মিয়ার অভিযোগ তার ফুফু ও সৎ মা’র সঙ্গে সাইদুর মেম্বারের অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় সাইদুর রহমান, চাচা বাবুল মিয়া, সেবুল মিয়া, ফুফু রাজনা বেগম কেলন ও সৎ মা জেসমিন বেগম সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পতিভাবে তার পিতা মুক্তার মিয়াকে বিষপান করিয়ে হত্যা করেছেন।

হত্যার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে মুক্তার মিয়ার পিতা আব্দুল গণি বলেন, আমার ছেলে তার স্ত্রী-সন্তানদের সাথে অভিমান করে নিজেই বিষপান করে মারা গেছে। তাকে কেউ বিষপান করায়নি।

অভিযুক্ত সাইদুর রহমান মেম্বার বলেন, মুক্তার মিয়া বা তার পরিবারের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। সুতরাং তাকে বিষপান করানো প্রশ্নই আসেনা। হয়রানী করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মুক্তার মিয়া বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। এবিষয়য়ে এখনো আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।

আরো সংবাদ