লামাকাজী সুরমা নদীর তীরের ভাঙন রক্ষায় একনেকে ১২০ কোটি ৮২ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন
বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: নভেম্বর - ৫ - ২০১৯ | ১১: ১৭ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় মাহতাবপুর, দশগ্রাম, ও রাজাপুর পরগণার বাজার এলাকায় সুরমা নদীর উভয় তীরের ভাঙন রক্ষায় প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিনে এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সভায় মোট ৬টি প্রকল্প অনুমোদন। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
অনুমোদিত বাকি ৫টি প্রকল্পসমূহ হলো- রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প ‘যশোর (রাজারহাট)-মনিরামপুর-কেশবপুর-চুকনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক (আর-৭৭৫) উন্নয়ন প্রকল্প, ফেনী-সোনাগাজী-মুহুরী প্রকল্প সড়কের ৩০ কি.মি. এ ৩৯১.৩৪ মিটার দীর্ঘ মুহুরী সেতু এবং বক্তারমুন্সী-কাজিরহাট-দাগনভূঁঞা সড়কের ১৩তম কিলোমিটারে ৫০.১২ মিটার দীর্ঘ ফাজিলাহাট সেতু নির্মাণ প্রকল্প, কক্সবাজার জেলার একতাবাজার হতে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি পর্যন্ত সড়ক (জেড-১১২৫) উন্নয়ন প্রকল্প, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ‘আগারগাঁওস্থ শেরে বাংলা নগরে পর্যটন ভবন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
উল্লেখ্য, সুরম নদী অব্যাহত ভাঙনে ২০০০ সাল থেকে এপর্যন্ত বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী এলাকায় কবরস্থান, মাজার, মসজিদ, বাজারসহ প্রায় শতাধিক বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। মাথা গোজাঁর ঠাঁই হারিয়ে গৃহহারা হয়েছেন স্থানীয় মাহতাবপুর ও শাহপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের দূর্ভোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আতংকে রয়েছেন নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো। নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী।