AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে মানব পাচারকারী আশিক আলী গ্রেফতার

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: অক্টোবর - ১৮ - ২০১৯ | ১০: ১০ অপরাহ্ণ

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: প্রতারণা-জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান অভিযুক্ত মানব পাচারকারী আশিক আলী (৪৫)’কে গ্রেপ্তার করেছে সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার রামপাশা এলাকা থেকে থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে (আশিক) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত মানব পাচারকারী আশিক আলী উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের শেখপাড়া-ধলীপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের পুত্র।
উপজেলার কাউপুর গ্রামের আকবর আলীর পুত্র ফয়ছল আহমদ বাদী হয়ে ১৫.০৮.১৮ইং তারিখে জালিয়াতী-প্রতারণা ও পাসপোর্ট আটকে রাখার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারকৃত মানব পাচারকারী আশিক আলী ও তার ভাই আমির শাহজাহান (৩৫)’কে অভিযুক্ত করে সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতে মামলাটি দায়ের করে ছিলেন। মামলা নং সি.আর ১৮৯/২০১৮ইং। বিশ্বনাথ থানার এসআই মিজানুর রহমান ওই মামলার তদন্ত করেন। তদন্তে বাদীর লিখিত অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান ২২.০৬.১৯ইং তারিখে আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
আশিক আলীকে গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিশ্বনাথ থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, মামলার অপর অভিযুক্ত পলাতক আমির শাহজাহানকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাদী তার লিখিত অভিযোগে উল্লে করেছেন, গ্রেপ্তারকৃত মানব পাচারকারী আশিক আলী ‘বাদী ও তার বন্ধু’কে ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে পাঠানোর জন্য স্বাক্ষীদের সম্মুখে জনপ্রতি ১৩ লাখ টাকা করে মৌখিক চুক্তি করে। সেই মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী বাদী ও তার বন্ধুর কাছ থেকে ৪ লাখ করে মোট ৮ লাখ টাকা অগ্রিম নেয় আশিক আলী ও তার ভাই আমির শাহজাহান। এসময় আশিক ও আমির ফ্রান্সের ভিসা লাগানোর জন্য তাদের (বাদী ও বাদীর বন্ধু) ২টি পাসপোর্ট নেয়। একাধিকবার বাদী ও তার বন্ধুকে বিদেশ পাঠানোর নামে ঢাকাতে নিলেও চুক্তির সময় সীমা ফেরিয়ে যাওয়ার পরও তাদেরকে ফ্রান্সে পাঠাতে সম্পুর্ণরুপে ব্যর্থ হয় মানব পাচারকারী আশিক আলী ও তার ভাই আমির শাহজাহান। এনিয়ে একাধিক বার এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতি সালিশ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তাতেও বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান হয়নি। অবশেষে মানব পাচারকারী আশিক আলী ২০.০২.১৮ইং তারিখে মামলার স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে নিজের কৃতকর্মের জন্য বাদী ও তার বন্ধুর কাছে ক্ষমা চেয়ে অগ্রিম হিসেবে তাদের কাছ থেকে নেওয়া ৮ লাখ টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য নিজের (আশিক) স্বাক্ষরিত দুটি চেক দেয় এবং বাদী ও তার বন্ধুর পাসপোর্ট দুটি আরোও ১ মাস পর ফেরৎ দিবে বলে অঙ্গিকার করে। কিন্তু ৫.০৩.১৮ইং তারিখে নগদায়নের জন্য বাদী ব্যাংকে মানব পাচারকারী আশিক আলীর দেওয়া চেক ব্যাংকে উপস্থাপন করলে জানতে পারেন চেকে উল্লেখিত ব্যাংক হিসাব নম্বরটি আশিক আলীর নয়। এটি অন্য আরেক জনের ব্যাংক হিসাব নাম্বার। চেকের পাতা জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজন করে অন্য লোকের হিসাব নম্বর লিখিয়া নিজে স্বাক্ষর করে প্রতারণা করেছে মানব পাচারকারী আশিক আলী। এর মূল কারণ বাদী ও তার বন্ধুর কাছ থেকে অগ্রিম দেওয়া ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা এবং তাদের ২টি পাসপোর্ট এখনও উদ্ধার হয়নি বলে জানা গেছে।

আরো সংবাদ