মো: আব্দুল হাই :: জগন্নাথপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বিএনপির দু-গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে যুবদল কর্মী মঈন উদ্দিন, ছাত্রদল কর্মী নুরুলসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিক্ষুব্দ বিএনপি নেতা কবির আহমদের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী রাজু আহমদের পৌর শহরের বটেরতল এলাকায় প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছে। দলীয় সূত্রে জানাযায়, বুধবার সন্ধ্যা রাতে নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীদের বৈঠক বসে। বৈঠকে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা এম এ কাদির উপস্থিত ছিলেন। এসময় পৌর নির্বাচনের কর্মী বন্টন নিয়ে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির ১ম সদস্য কবির আহমদ নির্বাচনে কর্মী বন্টনে পৌর বিএনপিকে প্রত্যাখান করে উপজেলা বিএনপি কর্মী বন্টনের সিদ্ধান্ত নেবে এমন প্রস্তাব দিলে হট্রগোলের সৃষ্টি হলে বিএনপি নেতা কবির আহমদ তার অনুসারীদের নিয়ে নির্বাচনী কার্যালয় ত্যাগ করে। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য রাতেই জেলা বিএনপি নেতা আবু হোরায়রা ছাদ মাষ্টারের নেতৃত্বে উভয় পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। গতকাল বুহস্পতিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: সাখাওয়াত হোসেন জীবন নির্বাচনী প্রচারনায় জগন্নাথপুরে আসেন। দিনব্যাপী নির্বাচনী প্রচারনায় বিবদমান বিএনপির দু-পক্ষের কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ গ্রহন করেন। প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৪টায় পৌর বিএনপির সভাপতি এম এ মতিনের বড় ভাই যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা এম এ কাদির মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি যাওয়ার পথে নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ের সামান্য অধূরে পৌছা মাত্র উপজেলা বিএনপি নেতা কবির আহমদের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ এম এ কাদিরের উপর হামলা চালায় এবং ঐ সময় মেয়র প্রার্থী রাজু আহমদের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে ঘুরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি এম এ মতিনের অনুসারীরা ছুটে এসে হামলাকারী কবির আহমদের নেতৃত্বাধীন গ্রুপকে ধাওয়া করে। এসময় দু-পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০নেতাকর্মী আহত হয়। এদিকে বিএনপির দু-গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বটেরতল এলাকাসহ আশ-পাশ এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এলে বিএনপির বিবদমান দু-গ্রুপের কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে এলাকা ত্যাগ করে। বিএনপি মেনানীত প্রার্থী রাজু আহমদের সাথে ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন। বিএনপি কর্মীদের মধ্যে তুচ্ছ কথা নিয়ে এমন অনাকাঙ্গিত ঘটনা দু:খজনক।