AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

অপহরণের ৪ দিন পর ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে ইউনিভার্সিটি ছাত্রের লাশ উদ্ধার

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ২৬ - ২০১৪ | ৩: ৫৯ পূর্বাহ্ণ

5710

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডেস্ক : অপহরণের চার দিন পর মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ছাত্র খালেদ আহমদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মানিককোনা গ্রামের কুরকুরি খাল থেকে শুক্রবার সকাল ১০টায় মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেড্ক্যিাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত খালেদ গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের নিমাদল গ্রামের মো. ছল্লুছ মিয়ার ছেলে।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরের ভিত্তিতে কুশিয়ারা নদীর শাখা কুরকুরি খাল থেকে খালেদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২১ জুলাই সকালে সিলেট নগরীর করিম উল্লাহ মার্কেটের সামনে থেকে খালেদ ও তার খালাতো ভাই জহিরুল ইসলাম জহিরকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। মাইক্রোবাসে করে সিলেট নগরী থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলার রামধাবাজার চন্দগ্রামে কবির আহমদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে খালেদ ও জহিরের মুখে টেপ, চোখে কাপড় ও হাত-পা বেঁধে রাখে অপহরণকারীরা।

এ সময় অপহরণকারীরা ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এত টাকা নাই জানালে অপহরণকারী কবির আহমদ পরে টাকার অংক ৫ লাখে নামিয়ে আনে। এ সময় পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য খালেদকে আটকে রেখে জহিরকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

জহির ছাড়া পেয়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে জানানো হয়।

পুলিশ জহিরকে সঙ্গে নিয়ে কবিরের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত কবিরের ফুফাতো ভাই মুমিত আল মাহমুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিয়ানী বাজার থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফিুজুর রহমান একজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপহরণের ঘটনায় খালেদ ও জহিরের পরিবার গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও এসএমপি’র কোতোয়ালি থানায় মামলার জন্য গেলেও কোনো থানাই মামলা নেয়নি।

গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম ফজলুল হক শিবলী জানান, খালেদ অপহরণের পর ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল গোলাপগঞ্জ না হওয়ায় এ বিষয়ে কিছু করার নেই।

আরো সংবাদ