AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

পৌর মে’য়’র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৭ কাউন্সিলরের অনাস্থা প্র স্তা ব

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: এপ্রিল - ১৬ - ২০২৪ | ১০: ৪২ অপরাহ্ণ

কাউন্সিলরের অনাস্থা প্র স্তা ব

বিশ্বনাথনিউজ২৪::: ভার সাম্য হীন ভাবে ক্ষ ম তা র অপব্যবহার, কাউন্সিলর ও জনগণে র সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ প্রদর্শন ও গালিগালাজ, স্ব জ ন প্রীতি, ময়লা-আবর্জনার পরিস্কার করা’সহ ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আ ত্ন সাৎ’র অভিযোগ এনে সি লে টের বিশ্বনাথে পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পৌরসভার দুই প্যানেল মেয়র’সহ ৭ কা উ ন্সি লর।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও স ম বা য় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবরে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারা মো তা বে ক’ অনাস্থা প্রস্তাবটি দাখিল করেন কাউন্সিলরবৃন্দ।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের বরাবরে দাখিল করা অ না স্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্বনাথ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রফিক মিয়া, প্যানেল মেয়র-২ সাবিনা বেগম, ২নং সংরক্ষিত ও য়া র্ডে র কাউন্সিলর রাসনা বেগম, ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লাকী বেগম, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজুক মিয়া রাজ্জাক, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুর আলী ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম আহমদ। এরপূর্বে গত ৯ এপ্রিল দুপুরে পৌরসভা কার্যালয়ের কাউন্সিলর হল রুমে প্যানেল মেয়র-১ রফিক মিয়ার সভাপতিত্বে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক বিশেষ জরুরী সভা করে ‘অনাস্তার প্রস্তাব’ গ্রহণ করেন কাউন্সিলররা।

অনাস্থা প্রস্তাবে কাউন্সিলররা উল্লেখ করেছেন, দূর্নীতি করার সুবিধার্থে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান পৌরসভার কার্যালয় থেকে সকল অফিসিয়াল কাগজপত্র তার বাসভবনে নিয়ে গেছেন, এমনকি পৌর কার্যালয় হতে পৌরসভার ফার্ণিচার-ল্যাপটপ তার (মেয়র) নিজ বাসভবনে নিয়ে অফিসের সকল স্টাফ দিয়ে পৌর কার্যালয়ের পরিবর্তে বাসভবনে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কাজ করান। পৌরসভার প্রত্যেক মাসের সাধারণ সভা পৌর কার্যালয়ে না করে, মেয়র মুহিব তার বাসভবনে করেন। এতে জনগণ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মুহিবুর রহমান পৌর মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি ও টিএলসিসি’র কমিটির কোন সভা করেন নাই।

পৌর মেয়র মুহিবুর রহমান পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া একক ক্ষমতা বলে মাস্টাররোলে নিজের আত্নীয়-স্বজনকে পৌরসভায় নিয়োগ দিয়ে জনপ্রতি ২/৩ লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। মেয়র মুহিব সরকারের রাজস্ব খ্যাত থেকে বাজেট অনুসরণ না করে বিভিন্ন নামে-বেনামে ভ‚য়া বিল-ভাউচার তৈরী করে, ডেঙ্গু মশক নিধন ও কোভিড-১৯ নামে সরকারি টাকা এবং বিশ্বনাথ পুরাণ বাজারের গরু-হাটের উন্নয়ন কাজ দেখি বিপুল পরিমাণ টাকা আত্নসাৎ করেছেন। মেয়র মুহিব রাজস্ব খ্যাত থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার করার ব্যয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এমনকি পৌরসভার টাকা ‘অন্য ইউনিয়নে ও অন্য উপজেলায়’ স্বদর্পে বিতরণ করেন। অথচ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (ল্যান্ড ফিল্ড) স্থাপনা না করেই পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ‘প্রবাসী চত্ত্বর, হাজী মফিজ আলী বা লি কা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ও মাদানিয়া মা দ্রা সা র’ পাশে জনগূরুত্বপূর্ণ জায়গায় ও বাসিয়া নদীতে ডাম্পিং ক র ছে ন।

পৌর মে য় র মুহিব পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন সময় দরপত্র আহবান ছাড়া, নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিষদের অগোচরে নিজের (মেয়রের) পছন্দের লোক দ্বারা পরিচালনা করে কাউন্সিলরগণের প্রত্যয়ন ছাড়াই লক্ষ লক্ষ টাকার বিল পরিশোদের ব্য ব স্থা করে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। এমনকি ‘বিশ্বনাথ পৌরসভা’র নামে ‘সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংকিং, ব্যাংক এশিয়া’য় পরিষদের অজান্তে অনেক একাউন্ট আছে এবং উক্ত একাউন্টগুলোতে লক্ষ লক্ষ টাকাও জমা ছিল। মেয়র মুহিব নিজের একক ক্ষ ম তা বলে এসব একাউন্ট থেকে কিছু পৌর কর্মচারীর মাধ্যমে সেই টাকাগুলো উত্তোলন করে ভূয়া চালানের মাধ্যমে কোন প্র ক ল্প না করেই লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করেছেন।

মেয়র মুহিব পৌরসভার মাসিক সভায় সাদা কাগজে কাউন্সিলরদের স্বাক্ষর করিয়ে ও মাসিক রেজুলেশনের কপি না দিয়ে নিজের ইচ্ছেমাফিক কার্যবিবরণী লিখে সেটাকে কৌশলে পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে যাচ্ছেন। পৌর পরিষদ পৌরসভার বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করার জন্য মেয়র মুহিবুর রহমানকে অ নু রোধ করলেও, আজ পর্যন্ত তিনি (মেয়র) তা করেননি। এতে প্রমাণ হয় মেয়র মুহিব একজন দূর্নীতি প রা য়ন ও স্বজনপ্রীতি সম্পন্ন ব্যক্তি। এছাড়া জনশ্রুতি রয়েছে মেয়র মুহিব পৌরসভার সকল কার্যাদেশের বিলের জন্য গড়ে ৫% করে ঘুষ গ্রহন করেন। এমনকি পৌর পরিষদের সভায় সবার সম্মুখে মেয়র সেটা নিজেও স্বীকার করেছে। যার একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যো গা যো গ মাধ্যম ফেসবুকে ইতিপূর্বে ভাইরাল হয়েছে।

বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌরসভার নকশাকার আশরাফুজ্জামান চয়নকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে ‘সহকারী প্রকৌশলী’ পদে এবং আয়কর কর্মকর্তা সাজেদুল হককে একাউন্টন্টেস পদে পদায়ন করে নিজের (মেয়র) বাসায় বসিয়ে নামে, বে-নামে ভূয়া বিল-ভাউচার বানিয়ে রাজস্ব খ্যাত থেকে টাকা উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ করছেন। এছাড়া মেয়র মুহিব ক্ষমতার অপব্যবহার ও দূর্নীতির মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহার করে সরকারি আইন উপেক্ষা করে রাজস্ব থেকে গাড়ির তেল ক্রয়, গাড়ির ড্রাইভারের বেতন পরিশোধ, গাড়ির মেরামত ব্যয় দেখিয়ে পরোক্ষভাবে জনগণের প্রদত্ত ট্যাক্সের টাকা আত্নসাৎ করছেন।

এছাড়াও পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর ও জনগণের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, স্বজনপ্রীতি, গালমন্দ ও ক্ষমতার অপব্যবহার ভারসাম্যহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অনিয়ম দুর্নীতি আর ভারসাম্যহীন আচরণের কারণে কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। বিচার সালিশের ভিডিও করে তার ফেসবুক আইডিতে ভাইরাল করে জনগণের মানহানী করে আসছেন।

বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সত্যতা স্বীকার করেছেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রফিক মিয়া, প্যানেল মেয়র-২ সাবিনা বেগম, ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসনা বেগম, ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লাকী বেগম, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজুক মিয়া রাজ্জাক, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুর আলী ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম আহমদ।

এবিষয়ে বক্তব্য নিতে বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে (০১৭১৩-৩০০১২৭) একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

আরো সংবাদ