AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

“পুষাইলে ওঠেন, না পুষাইলে হাঁটেন”

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ৭ - ২০১৪ | ৬: ১৫ অপরাহ্ণ

Riksha2 copy

রফিকুল ইসলাম কামাল, সিলেট : গত বুধবার থেকে সিলেট নগরীতে শুরু হয়েছে ইজিবাইক বিরোধী পুলিশের অভিযান। যার ফলে পুরো সিলেট নগরীর এখন ইজিবাইক শূন্য। আর এই সুযোগের পুরো সদ্বব্যবহার করছে রিক্সা চালক ও অটোরিক্সা চালকরা। ভাড়া নিয়ে নগরীতে তারা চালাচ্ছে এক ধরনের নৈরাজ্য। ভাড়ার দরকষাকষিতে যাত্রীকে চালকরা ‘পুষাইলে ওঠেন, না পুষাইলে হাঁটেন’ এমনটা বলতেও ছাড়ছে না!

সজীব নামক এক ব্যক্তি নগরীর জিন্দাবাজার থেকে আম্বরখানা যাবেন। জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে আম্বরখানা যেতে স্বাভাবিক ভাড়া যেখানে ১০ টাকা, সেখানে রিক্সা চালকরা অস্বাভাবিকভাবে আব্দুর রহমানের কাছে চাইছে ২০ থেকে ২৫ টাকা করে! এতেই শেষ নয়, পুরো সিলেট নগরীতে ভাড়া নিয়ে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা চলছে।

নগরীর মীরবক্সটুলা থেকে কাজীটুলা যেতে যেখানে রিক্সা ভাড়া ৫ টাকা, সেখানে চালকরা ১৫ টাকা হাঁকছেন! আবার মীরবক্সটুলা থেকে জিন্দাবাজার আসতে রিক্সা ভাড়া ১০ টাকা হলেও রিক্সা চালকরা ২০-২৫ টাকার কমে আসতেই চান না! এছাড়া জিন্দাবাজার থেকে কোর্ট পয়েন্ট ভাড়া ৫ টাকা হলেও চালকরা কমপক্ষে ১০ টাকার নীচে যাত্রী তুলছেন না। বন্দর থেকে কীনব্রীজ পেরিয়ে ওপাশে যেতে ভাড়া সর্বোচ্চ ১০ টাকা হলেও রিক্সা চালকরা চাইছেন ২০-২৫ টাকা!

এদিকে শুধু রিক্সা চালকরাই নয়, অটোরিক্সা চালকরাও ইজিবাইক শূন্য নগরীতে চালাচ্ছেন ভাড়া নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা। কোনো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে স্বাভাবিক ভাড়া যেখানে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা, সেখানে অটোরিক্সা চালকরা ১৫০ টাকার কমে নড়ছেনই না!

এদিকে রিক্সা কিংবা অটোরিক্সা চালকদের সাথে ভাড়া নিয়ে বেশি কথা বললেই তারা (চালকরা) যাত্রীদেরকে “পুষাইলে ওঠেন, না পুষাইলে হাঁটেন” বলে  তাচ্ছিল্যের সাথে ফিরিয়ে দিচ্ছেন! আজমল খান নামক এক ব্যক্তি বন্দর বাজার থেকে যাবেন  রিকাবীবাজার। রিক্সাচালক ভাড়া হেঁকেছেন ৫০ টাকা! এ নিয়ে চালকের সাথে দরকষাকষি করতে চাইলে চালক তাচ্ছিল্যের সাথে আজমল খানকে বলেন,“পুষাইলে ওঠেন, না পুষাইলে হাঁটেন”! হতভম্ব আজমল খান শেষ পর্যন্ত ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে হেঁটেই গন্তব্য পথে রওনা দেন।

নগর জুড়ে ভাড়া নিয়ে এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে গত কয়েকদিন ধরে। তাছাড়া বৃষ্টি হলেই স্বাভাবিক ভাড়ার তিন-চার গুণ বেশি ভাড়া হেঁকে বসে থাকেন রিক্সা-অটোরিক্সা চালকরা। সবমিলিয়ে নগরবাসী পড়েছেন বিপাক এবং দুর্ভোগে। রমজান মাসে যেখানে সবারই একটু তাড়া থাকে দ্রুত ঘরে ফেরার,সেখানে রিক্সা-অটোরিক্সা চালকদের ভাড়া নৈরাজ্যের ফলে নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাফেরা হচ্ছে ব্যাহত। এ ব্যাপারে প্রশাসনেরও নেই কোনোও তৎপরতা।

আরো সংবাদ