বাংলাদেশ সরকারের উচিত দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) ভেঙে দেয়া। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এ আহ্বান জানিয়েছে। ‘বাংলাদেশ: ডিসব্যান্ড ডেথ স্কোয়াড’ শিরোনামে এইচআরডব্লিউ’র ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন, র্যাব পুনর্গঠন এবং সংস্থাটিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু, সেটা করতে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে তারা। তিনি বলেন, জবাবদিহিতার ব্যবস্থা না থাকায়, তা র্যাবকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার পথ করে দিচ্ছে। ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, র্যাব পুনর্গঠনের ঊর্ধ্বে এবং দ্রুত এ বাহিনীকে বিলুপ্ত করতে হবে। এইচআরডব্লিউ’র প্রতিবেদনে র্যাবকে ‘ডেথ স্কোয়াড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলা হয়েছে, পদ্ধতিগত ও সিরিয়াল হত্যাকাণ্ডে জড়িত র্যাব। র্যাবকে ভেঙে না দেয়া পর্যন্ত, র্যাব থেকে সব সামরিক কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল করে এটিকে সম্পূর্ণ বেসামরিক বাহিনীতে রূপান্তরেরও আহ্বান জানানো হয়। এ বছরের এপ্রিলে চুক্তিভিত্তিকভাবে ৭ জনকে হত্যার তথ্য-প্রমাণ রয়েছে র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন দলের এক সদস্যের নির্দেশে তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এ ঘটনা বাংলাদেশে প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং র্যাব কিভাবে ডেথ স্কোয়াড হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তার আরেকটি নমুনা এটি। নির্যাতন ও নৃশংস নিষ্ঠুরতার অসংখ্য ঘটনা, বিধিবহির্ভূত গণগ্রেপ্তার ও গত ১০ বছরে প্রায় ৮ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী র্যাব।