সিলেটের বিশ্বনাথে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নিখোঁজ নেতা এম. ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেশ বিভক্ত হয়ে শোষক ও শোষিত শ্রেণিতে পরিণত হয়েছিল। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের নিপীড়নে অতিষ্ঠ জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের বিতাড়িত করে। আমরা স্বৈরাচারমুক্ত একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, কিন্তু পূর্ণ স্বাধীনতা এখনো অর্জিত হয়নি। এখনও একটি চক্র ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সেই ফ্যাসিস্টরা সুযোগ পেলে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। এজন্য জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।”
শনিবার (১০ নভেম্বর) সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার অলংকারী গ্রামে মরহুম হাজী তেরা মিয়া ও সুফিয়া বেগমের স্মরণে আয়োজিত ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্ট। গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, গুম ও হত্যা চালানো হয়েছে। এরপরও বিএনপি দল হিসেবে ভদ্র, তাই তাদের মতো আচরণ বিএনপি কখনো করবে না।” লুনা আরও বলেন, “আমরা এখনো ইলিয়াস আলীর সন্ধান পাইনি। বারবার সরকারের কাছে দাবি জানিয়েও ব্যর্থ হয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর তাকে ফেরত পাবো। এখনো ইলিয়াস আলীসহ গুম হওয়া সকলের সন্ধানে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই। গুমের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
যুক্তরাজ্যের ওল্ডহাম বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন ইমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস অর্ণব, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. গৌছ আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. লিলু মিয়া এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ে আলহাজ্ব মোক্তার আলী ফাউন্ডেশন‘র তৃতীয় বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর সহকারী ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ময়নুল হক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজী মুসলিম আলী, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আরব খান, সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, মরহুম হাজী তেরা মিয়া ও সুফিয়া বেগমের পরিবারের উদ্যোগে এবং অলংকারী ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় আয়োজিত এই ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পে ৪০০ জনের বেশি চক্ষু রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়।
