বিশ্বনাথনিউজ২৪ ডেস্ক :: সারাদেশে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চললে সিলেটের বিশ্বনাথে তা বন্ধ রাখতে হবে কেন-এমন প্রশ্ন তুলেছেন উপজেলা ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। সোমবার (২২ মে) দুপুরে বিশ্বনাথ পৌরশহরের পুরান বাজারে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এমন প্রশ্ন তুলেন।
বক্তারা বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজার ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক-অটোরিকশা রয়েছে। এরমধ্যে শুধু পৌরসভা এলাকায়ই আছে আটারশত থেকে দুই হাজার ইজিবাইক-অটোরিকশা। উপজেলাজুড়ে এগুলোর ২০টি ও সদরে ৪টি স্ট্যান্ড রয়েছে। অথচ, বিশ্বনাথে এক শ্রেণির কুচক্রিমহল ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক বন্ধ করতে নানা পায়তারা করছে। এমনকি, কিছু শ্রমিক নামধারীরা এগুলো বন্ধ করতে পরিবহন ধর্মঘটের ডাকও দিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, সারাদেশে ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক চললে, কক্সবাজারের মত পর্যটন এলাকায় চললে, বৃহত্তর সিলেটের প্রতিটি পৌর এলাকায় চললে বিশ্বনাথে তা বন্ধ রাখতে হবে কেন? যদি সারাদেশে ইজিবাইক বন্ধ রাখা হয়, তাহলে বিশ্বনাথেও বন্ধ রাখা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ হওয়ায় আইন মেনেই ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক-অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। যদি আমাদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ইজিবাইক-অটোরিকশা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে এতগুলো পরিবারকে না খেয়ে মরতে হবে। আমরা এগুলো চালাই বলেই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ সুবিধাজনকভাবে যাতায়াত করতে পারছেন। আমাদের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগও তোলা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না। সমঝোতার মাধ্যমে এই বিষয়টির সমাধান চাই। এ বিষয়ে বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের হস্তক্ষেপ আমরা কামনা করছি। এছাড়াও, উপজেলা ও পৌরবাসীকে আমাদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি, ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক-অটোরিকশাকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে এসে আমাদের বৈধভাবে চলার অনুমতি প্রদানের জন্যে বর্তমান সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্বনাথ ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোস্তাক আহমদ খান। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ওদুদ, শ্রমিক নেতা আবদুল কালাম, আবদুল খালেক।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা আবদুল কাদির, ছালিক মিয়া, জামাল হোসেন, আবদুল করিম, মানিক মিয়া, আকবর আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, জামাল মিয়া, জুনাব আলী, শানুর মিয়া, সাইদুল ইসলাম।