নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ প্রায় ১১বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বনাথ উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দিলওয়ার হোসেন সুমন যোগদানের পর রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১লা জানুয়ারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন ডাক্তার দিলওয়ার হোসেন সুমন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি স্বেচ্চাচারিতা আর সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে অসহায় মানুষ সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশ্বনাথের সন্তান ডাক্তার দিলওয়ার হোসেন সুমন যোগ দেয়ার পর থেকে এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবায় আলোর সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বনাথবাসীরও আশা তৈরী হয়েছে। সেই আশাই সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এতোদিন এই হাসপাতালটি একটি সিন্ডিকেটে অধীনে চলছিল। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন থেকে এই হাসপাতালটি নিয়মের মধ্যেই চলবে। হাসপাতালের প্রতিটি সমস্যা চিহ্নিত করে তা শীঘ্রই সমাধান করা হবে।
স্বাস্থ্য সহকারি দিবাংশু গুনের পরিচালনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করুণ পরিণতির কথা তুলে দরে দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নবনিযুক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার দিলওয়ার হোসেন সুমন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের আরএমও ডাঃ রাজিব বৈষ্ণব, নার্সিং সুপারভাইজার আব্দুল সাকুর, সাপ্তাহিক আলোকিত বিশ্বনাথ সম্পাদক কাজী জামাল উদ্দিন, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন ইমরান ও সাংবাদিক আশিক আলী।
হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার পূর্বে যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা জিন এক্সপার্ট ল্যাবরেটরীর উদ্বোধন করেন এমপি মোকাব্বির খান। এরপর তিনি ১৯-২৫ জানুয়ারি জরায়ূর মুখ ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনডিসি কর্ণার, ল্যাব অফিস, ইমাজেন্সি শাখাসহ প্রতিটি সেবা শাখা পরিদর্শন করেন। সকালে কাদিপুরস্থ শাহজালাল পল্লি পরিষদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ও কোভিড-১৯ স্কুল ভ্যাক্সিণেশন (২য় রাউন্ড) প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন মোকাব্বির খান।