Search
Close this search box.

বিশ্বনাথে জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

ঘর নির্মাণের অভিযোগ
Facebook
Twitter
WhatsApp

বিশ্বনাথনিউজ২৪ : আদালতে মামলা বিচারাধিন থাকাবস্থায় সিলেটের বিশ্বনাথে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে রাতের আঁধারে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলা রামপাশা বাজারের ব্যবসায়ী ও রামপাশা গ্রামের মহবত আলীর ছেলে হিরন মিয়া এই ঘরটি নির্মাণ করেন। এমন অভিযোগ করেন উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের কুড়িখলা গ্রামের হাজী ইসকন্দর আলী পুত্র রোশন আলী। এঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ প্রদান করেছেন।

লিখিত অভিযোগে রোশন আলী উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালে রামপাশা বাজারে জনৈক আব্দুল হকের কাছ থেকে ৮শতক জায়গা মৌজা-রামপাশা, জেল নং-৫৭, দাগ নং- ৩৩৮৪) ক্রয় করেন রোশন আলী, তার ভাই সামির আলী, শরফত আলী ও বোন আজিরুন নেছা। এসএ খতিয়ানে জায়গার মালিক রয়েছেন মহব্বত আলী ও তার চার বোন। ১৯৭৫ সালে ওই জায়গা জনৈক জব্বার আলীর নিকট বিক্রয় করেন মহব্বত আলী। এরপর ১৯৯৭ সালে জনৈক জমির আলী ও রুশনা বেগমের নিকট জায়গাটি বিক্রয় করেন জব্বার আলী। বিএন জরিপে জমির আলী ও রুশনা বেগমের নামে ক্রয়কৃত জায়গা রেকর্ড হয় এবং ২০০৬ সালে জনৈক আব্দুল হকের কাছে জায়না বিক্রয় করেন জমির আলী ও রুশনা বেগম।

আর ২০০৭ সালে আব্দুল হকের কাছ থেকে ওই জায়গা ক্রয় করে ভোগদখল করে আসাবস্থায় রোশন আলী। জায়গায় অংশিদারী দাবি করেন এসএ খতিয়ান মূলে মালিক পচন বিবির নাতি হিরন মিয়া। তিনি এ বিষয়ে ২০১৫ সালে সিলেট ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে দায়ের করেন। মামলা নং- ৭৫৩/২০১৫। মামলাটি এখনও বিচারাধিন রয়েছে। এমতাবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাতে বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর নির্মাণ শুরু করেন হিরন মিয়া। খবর পেয়ে বিবাদী রোশন আলী ঘটনাস্থলে পৌছে বাধা দিলে এতে কোন লাভ হয়নি। এসময় তাকে ভয় ভিতি দেখিয়ে নির্মাণকাজ চালিয়ে যান হিরন আলী পক্ষ।

এ ব্যপাারে রোশন আলী বলেন, আদালতে মামলা চলমান রেখে জোরপূর্বক তার জায়গা দখল করে রাতের আাঁধারে ঘর নির্মাণ করছেন ব্যবসায়ী হিরন মিয়া। খবর পেয়ে তিনি তার জায়গায় ঘর নির্মানে নিষেধ করেন। কিন্তু এতে নির্মাণ কাজ বন্ধ না করে হিরন মিয়া পাক্ষ উল্টো রোশন আলী পক্ষকে হুমকি দিয়ে ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ব্যবসায়ী হিরন মিয়া বলেন, রাতের আঁধারে নয়, দিন-দুপুরেই সম্প্রতি তিনি এই জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছেন। সেখানে ৮শতক জায়গার মধ্যে ৪.৩১শতক জায়গায় ফরাজি সূত্রে তার মালিকানা রয়েছে। এছড়া দীর্ঘদিন থেকে তিনি ভোগদখলও করে আসছেন। যে কারণে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও তিনি ঘর নির্মাণ করেছেন।

ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘লিখিত নয়, মৌখিক একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে, জমির মালিক যদি উচ্চেদের জন্য কোর্টের কোন লিখিত আদেশ নিয়ে আসেন তাহলে অবশ্যই উচ্ছেদ করা হবে।’

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত