বিশ্বনাথনিউজ২৪ ডেস্ক :: ফুটবল বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরেই থাকে অসংখ্য পুরষ্কার ও সম্মাননা। গোল্ডেন বুট সেসব পুরষ্কারের মধ্যে অন্যতম একটি সম্মানজনক পুরষ্কার। ফুটবলে গোলদাতাদের প্রতি ভক্ত ও সমর্থকদের আগ্রহটা সবসময়ই থাকে বেশি। আর বিশ্বকাপে সেরা গোলদাতা হওয়ার বিষয়টি তো যেকোনো খেলোয়াড়ের কাছেও স্বপ্নের মতো। রীতি অনুযায়ী, প্রতিটি বিশ্বকাপের সেরা গোলদাতার হাতে ওঠে গোল্ডেন বুটের পুরষ্কার।
১৯৩০ সালে উরুগুয়ের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম আসর। এরপর গত ৯২ বছরে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট ২১টি বিশ্বসেরার লড়াই।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই সেরা গোলদাতার পুরষ্কার চালু থাকলেও ১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপ থেকে নাম ধরে সেরা গোলদাতার ‘গোল্ডেন শ্যু’আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তখন আসরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরারকে সিলভার এবং ব্রোঞ্জ শ্যু পুরস্কার দেয়া হতো। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আসরে গোল্ডেন শ্যু’র নাম পাল্টে গোল্ডেন বুট রাখা হয়।
ফুটবল বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা ফ্রান্সের জাস্ট ফন্টেইনের। ১৯৫৮ সালের সুইডেন বিশ্বকাপে ১৩টি গোল করে এ রেকর্ড গড়েন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে গোল্ডেন বুট জেতার তালিকায় সবার চেয়ে এগিয়ে ব্রাজিলিয়ানরা। দেশটির মোট ৬ ফুটবলার জিতেছেন এই পুরস্কার। তবে ইতিহাসে কেউই এখন পর্যন্ত দুইবার গোল্ডেন বুট জেতার কীর্তি দেখাতে পারেনি।
বিশ্বকাপের ২১ আসরের সেরা গোলদাতাদের হলেন যারা-
বিশ্বকাপ-১৯৩০ (উরুগুয়ে) : গুইলারমো স্টাবিলে (আর্জেন্টিনা) ৮ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৩৪ (ইতালি) : অল্ড্রিচ নেয়েডলি (চেকোস্লোভাকিয়া) ৫ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৩৮ (ফ্রান্স) : লিওনিডাস (ব্রাজিল) ৭ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৫০ (ব্রাজিল) : আদেমির (ব্রাজিল) ৮ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৫৪ (সুইডেন) : জাস্ট ফন্টেইন (ফ্রান্স) ১৩ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৬২ ( চিলি) : ফ্লোরিয়ান আলবার্ট (হাঙ্গেরি), ভ্যালেন্টিন ইভানোভ (সোভিয়েত রাশিয়া), গারিঞ্চা এন্ড ভাভা (ব্রাজিল), ড্রাজান জারকোভিচ (যুগোস্লাভিয়া ক্রোয়েশিয়া), লিওনেল সানচেজ (চিলি) ৪ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৬৬ (ইংল্যান্ড) : ইউসেবিও (পর্তুগাল) ৯ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৭০ (মেক্সিকো) : জার্ড মুলার (জার্মানি) ১০ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৭৪ (পশ্চিম জার্মানি) : গ্রিগর্জ লাটো (পোল্যান্ড) ৭ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৭৮ (আর্জেন্টিনা) : মারিও কেম্পেস (আর্জেন্টিনা) ৬ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৮২ (স্পেন) : পাওলো রোসি (ইতালি) ৬ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৮৬ (মেক্সিকো) : গ্যারি লিনেকার (ইংল্যান্ড) ৬ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৯০ (ইতালি) : সালভাতোরে শিলাচি (ইতালি) ৬ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৯৪ (যুক্তরাষ্ট্র) : ওলেগ সেলেঙ্কো (রাশিয়া), রিস্টো স্টোয়েচকভ (বুলগেরিয়া) ৬ গোল।
বিশ্বকাপ-১৯৯৮ (ফ্রান্স) : ডেভর সুকার (ক্রোয়েশিয়া) ৬ গোল।
বিশ্বকাপ-২০০২ (দক্ষিণ কোরিয়াও জাপান) : রোনাল্ডো নাজারিও (ব্রাজিল) ৮ গোল।
বিশ্বকাপ-২০০৬ (জার্মানি) : মিরোস্লাভ ক্লোসা (জার্মানি) ৫ গোল।
বিশ্বকাপ-২০১০ (দক্ষিণ আফ্রিকা) : থমাস মুলার (জার্মানি) ৫ গোল।
বিশ্বকাপ-২০১৪ (ব্রাজিল) : হামেস রদ্রিগেজ (কলম্বিয়া) ৬ গোল।
বিশ্বকাপ-২০১৮ (রাশিয়া) : হ্যারি কেইন (ইংল্যান্ড) ৬ গোল।