AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: জুলাই - ৭ - ২০২২ | ৪: ৩১ অপরাহ্ণ

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ :::  চাপের মুখে অবশেষে সরে দাঁড়াচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে সরকারের একটি সূত্র।

গত দুই দিনে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ৪০ মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতা পদ থেকে সরে দাঁড়ান। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ সৃষ্টি করে আসছেন।

দেশ পরিচালনায় বরিসের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা নিজেরা পদত্যাগ করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেবেন জনসন, যার মধ্য দিয়ে তার প্রধানমন্ত্রিত্বেরও অবসান ঘটবে। তবে কনজারভেটিভরা নতুন নেতা ঠিক করার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে নেবেন।

জনসন তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা এরই মধ্যে টোরি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যানকে কাছে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। অক্টোবরে দলীয় সম্মেলনে দায়িত্ব নেওয়া নতুন নেতাই প্রধানমন্ত্রী পদে জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বৃহস্পতিবার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে সরকার থেকে আরো আট মন্ত্রী পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। বিচ্ছিন্ন ও ক্ষমতাহীন হয়ে পড়া জনসনের নত হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না আর। দিনের আরো পরের দিকে পদত্যাগ ঘোষণা দেবেন রয়টার্সকে জানিয়েছে সূত্র। এ সংক্রান্ত বিবৃতি জনসন দেবেন বলে জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট।

কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাস্টিন টমলিনসন টুইটারে বলেছেন, ‘তার পদত্যাগ অনিবার্য ছিল’। একটি দল হিসেবে আমাদের অবশ্যই দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

এর আগে করোনার বিধি লঙ্ঘন করে একাধিক পার্টি আয়োজন করে সমালোচিত হয়েছিলেন বরিস জনসন। এজন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে পদত্যাগের চাপে ছিলেন তিনি। যদিও তিনি পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে উৎরে যান।

সরকার পরিচালনায় বরিস জনসনের সক্ষমতা নিয়ে নিজ দল ও দলের বাইরে তার ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন তিনি। রক্ষণশীল দলের এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন বরিস জনসন। এরপরও তাকে সরকারের ডেপুটি চিফ হুইপ করেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে আবারও ক্ষমা চান বরিস জনসন।

আরো সংবাদ