Search
Close this search box.

সিলেট অঞ্চলে ‘এলিভেটেড’ রাস্তা হবে -প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: বন্যায় ঘাবড়ানোর কিছু নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যা আসায় আমার মনে হয় ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষকে সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই চলতে হবে। অবকাঠামোগুলোও সেভাবে তৈরি করতে হবে।

মঙ্গলবার বাসভাসিদের দেখতে সিলেট এসে তিনি এসব কথা বলেন। হেলিকপ্টারে করে বন্যাকবলিত এলাকা পর্যবেক্ষণ শেষে সিলেট সার্কিন হাউসে প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সিলেট অঞ্চলে মাটি উঁচু করে আর কোনো রাস্তা করা হবে না। ‘এলিভেটেড’ রাস্তা হবে। এলিভেটেড রাস্তা হলে সেটা সহজে নষ্ট হয় না, বন্যার মত দুর্যোগে যাতায়াতেরও সুবিধা হয়।

পাশাপাশি নদীগুলোর গভীরতা ঠিক রাখতে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু একবার ক্যাপিটাল ড্রেজিং করলে হবে না। তার পর নিয়মিত মেইনটেন্যান্সন্স ড্রেজিং করতে হবে।

ছোটবেলায় সিলেটে বেড়াতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বিশাল বিশাল ড্রেন ছিল, সব বাড়ির সামনে পানি যাওয়ার ড্রেন ছিল। তার ওপর স্ল্যাব দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা। দুর্ভাগ্য এখন কিন্তু নেই। বিল্ডিং বানিয়ে এমন অবস্থা… পানি যাওয়ার জায়গা নেই। পানি যাওয়ার জায়গা তো লাগবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সময় যারা তৈরি করেছিলেন, প্রকৃতির কথা চিন্তা করেই করেছেন। কিন্তু এখন আমাদের সময়ে যারা করছেন, তারা হয়তো চিন্তাভাবনা করছেন না।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বন্যা কবলিত অঞ্চল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি সিলেট সার্কিট হাউসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ দিন দুপুর ১টা ২৯ মিনিটে হযরত শাহজালালের (র.) মাজার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন তিনি। এ সময় তিনি জোহরের নামাজ ও মাজার জিয়ারত করেন। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মাজার থেকে বের হয়ে যান।

এরপর শাহপরানের (র.) মাজার জিয়ারত শেষে বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টার ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়।

আরও খবর