AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে হত্যা মামলায় দুই নেতাকে আসামী করায় আ.লীগের নিন্দা

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: ফেব্রুয়ারি - ৪ - ২০২১ | ৮: ৫১ অপরাহ্ণ

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওরে কৃষক হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন এবং দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কবির আহমদকে অভিযুক্ত করায় এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক একাউন্টে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আশিক আলী, আলতাব হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পার্থ সারথী দাশ পাপ্পু, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনের যৌথ বরাত দিয়ে এ বিজ্ঞপ্তি দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম সাহিদ।

প্রতিবাদে তারা বলেন, ‘বিশ্বনাথ উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নের চাউলধনী হাওর নিয়ে সৃষ্ট ঘটনা দুঃখজনক। হাওর নিয়ে সৃষ্ট এলাকার কৃষক ও ইজারাদারের মধ্য সংগঠিত সংঘর্ষে কৃষক ছরকুম আলী দয়াল নিহত হওয়া সত্যিই দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক। নিহত ছরকুম আলী দয়ালের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং উনার শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। ঘটনার ছয়দিন পরে থানায় যে মামলাটি নিহত ছরকুম আলী দয়াল সাহেবের পরিবারের পক্ষ থেকে রেকর্ড করানো হয়েছে তাতে অনেক নিরিহ এবং নিরপরাধ মানুষকে আসামী করা হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। এই ঘটনার সাথে কোন ভাবেই যুক্ত নন এমন মানুষদের আসামী করায় আমরা শুধু হতবাক হইনি বিস্মিত হয়েছি। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন এবং দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কবির আহমদের নাম আসামীর তালিকায় যুক্ত করায় আমরা শুধু মর্মাহত নই তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিথ্যা অসত্য তথ্য দিয়ে আবুল হোসেন এবং কবির আহমদের নাম আসামির তালিকায় যুক্ত করায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

‘আমরা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যেন প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় আনা হয়। কিন্তু এই দুঃখজনক ঘটনা নিয়ে কোন মহল যেন অপরানীতি বা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি। এই মামলায় নিরপরাধ কোন মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। পাশাপাশি সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন এবং দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কবির আহমদকে এই মামলায় হয়রানি না করে সঠিক তদন্ত করে তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেয়া হোক। আমরা আবারও বলছি প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় আনা হোক কিন্তু কেউ যদি আমাদের নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের অহেতুক হয়রানি করতে চায় তাহলে আমরা রাজপথে তাদেরকে মোকাবিলা করবো।’

আরো সংবাদ