AM-ACCOUNTANCY-SERVICES-BBB

বিশ্বনাথে চাঞ্চল্যকর নৈশপ্রহরী হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড

বিশ্বনাথ নিউজ ২৪ ডট কম :: নভেম্বর - ৩০ - ২০২০ | ৭: ২৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কাইরঘাট বাজারের মিছবাউল উলুম দাখিল মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আবদুল মতিন খান হত্যা মামলায় মোফাজ্জল হোসেন নামের এক আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সে বিশ্বনাথ উপজেলার কাইরঘাট (জগৎপুর) গ্রামের মৃত মুসলিম আলীর ছেলে।

চাঞ্চল্যকর এই মামলা দীর্ঘদিন বিচারাকার্য শেষে সোমবার (৩০ নভেম্বর) সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ (৪র্থ আদালত) মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মামলার এই রায় প্রদান করেন।

দন্ডবিধি-১৮৬০ এর ৩০২ ধারার অভিযোগ আসামী মোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্তক্রমে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী করার নির্দেশনা প্রদান করেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী মোফাজ্জল হোসেন হাজতবদ্ধ থাকায় তার সাজা পরোয়ারানা জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি এডভোকেট মো. আব্দুছ ছাত্তার।

এছাড়া মামলার অপর তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস এবং তাদের জিম্মাদারগণকে জিম্মারনামার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করেন আদালত। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- কাইরঘাট গ্রামের ফয়েজ মিয়ার পুত্র তারেক আহমদ দুলন, মৃত জাবিদ উল্লাহর পুত্র সুরুজ আলী ও মৃত আব্দুল মজিদ উল্লাহ উরফে সিপাই’র পুত্র সুন্দর আলী।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৮ জুন দিবাগত রাতে বিশ্বনাথের কাইরঘাট বাজারে দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন চাঁদপুর জেলার সদর থানার খলিশাডুলি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদির খানের পুত্র আব্দুল মতিন খান (৪৫)। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে কাইরঘাট মিছবাউল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের মেয়ে সেলিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা (দায়রা ৯৫৬/২০১৪ইং) দায়ের করলে প্রধান আসামী মোফাজ্জল হোসেনেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর আদাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে মোফাজ্জল হোসেন।

আরো সংবাদ