Search
Close this search box.

ডিজিটাল আইনে মামলা হলো প্রবাসী সাংবাদিকদের নামে

বিশ্বনাথনিউজ২৪ :: ফেসবুকে পোস্ট করা ও শেয়ার দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘণের অভিযোগ এনে ৫ মে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) এক কর্মকর্তা। এদের চার জন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুশতাক আহমেদ, নাগরিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং বিএলই সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডার-পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন। জামিন আবেদন প্রত্যাখান করে ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে জেলে বা পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন। অভিযুক্ত অপর ৮ জন হলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সাংবাদিক শাহেদ আলম, জার্মানিতে নির্বাসিত ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, ফ্রান্সে থাকা সাংবাদিক শামিউল ইসলাম, সুইডিশ-বাংলাদেশী সাংবাদিক তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার। তারাও গ্রেফতারের ঝুঁকিতে রয়েছেন, যদি পুলিশ তাদের নাগাল পায়।

এদের সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সঙ্গীত অথবা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে অপপ্রচার-প্রচারণা চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে “রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা” অথবা “বিভ্রান্তি ছড়ানোর” উদ্দেশ্যে তথ্য প্রকাশ ও অপপ্রচার করা; এমন তথ্য প্রকাশ বা সম্প্রচার করা “যা জনগণের মধ্যে ঘৃনা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করবে অথবা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবে বা বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে বা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে বা ঘটানোর হুমকি তৈরি করবে” ।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই মামলা ও গ্রেফতারকে বাকস্বাধীনতার মতো মৌলিক মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন বলে ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছে। অভিযুক্তদের অনেকেই সরকারের বেশ সুপরিচিত সমালোচক। তাই এই মামলার মাধ্যমে রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে সরকারের দমন-পীড়নের চেষ্টার তীব্রতাই বৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে হয়।

আরও খবর