Search
Close this search box.

প্রাণভিক্ষার আবেদন : জামায়াতের দাবি অসত্য, জানে না সাকার পরিবার

Facebook
Twitter
WhatsApp

Jaamat_bg_791629613-300x166নিউজ ডেস্ক :: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন-এ খবর অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (২১ নভেম্বর) দলীয় ওয়েব সাইটে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে কারা অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে যে, ‘আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেছেন। প্রচারিত এ খবরটি সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। পরিবারের সাথে সাক্ষাতকালে আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষার বিষয়ে পরামর্শের জন্য আইনজীবীদের সাথে পরামর্শের ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। তিনি পরিবারের নিকট প্রাণভিক্ষার বিষয়ে কোন বক্তব্য দেননি।”

“পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যে জানানো হয়েছে যে, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ আইনজীবীদের সাথে পরবর্তী আইনী বিষয়ে পরামর্শ করতে চান। আইনজীবীগণ মুজাহিদের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে কারাকর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কারাকর্তৃপক্ষ মুজাহিদের ইচ্ছা অনুযায়ী এখনো আইনজীবীদেরকে সাক্ষাতের অনুমতি দেননি”।

কারা কর্তৃপক্ষকে মুজাহিদের সঙ্গে আইনজীবীদের দ্রুত সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয় বিবৃতিতে। একই সঙ্গে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিতে আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার (২১ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, আলী আহসান মোহম্মদ মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নিষ্পত্তি করা সময়ের ব্যাপার।

আবেদন নিষ্পত্তির পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায় কার্যকর করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অন্য ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনের ক্ষেত্রে যে সময় লাগে, এ ক্ষেত্রে আরও কম সময় লাগবে। জনগণের চাহিদার প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া এ রায় নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ কারণে আমরা এটি দ্রুত শেষ করবো।

এদিকে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড‍প্রাপ্ত সাল‍াউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন কি-না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তার ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী। তিনি ও তার পরিবার বিশ্বাসও করেন না যে, সাকা চৌধুরী প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন।

শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। তাদেরকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে এরপর কারা এলাকা ত্যাগ করেন ফাইয়াজ ও সাকার দুই আইনজীবী।

সাংবাদিকদের ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবা (সাকা চৌধুরী) মার্সি পিটিশন করছেন কি-না তা নিয়ে আমার কনফিউশন রয়েছে। বিষয়টি ক্লিয়ার হওয়ার জন্য আমরা এখানে (ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার) এসেছিলাম। কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের ডাকেনি; নিজ থেকেই এখানে এসেছি। কিন্তু তারা ঢুকতে না দেওয়ায় ফিরে যাচ্ছি।

বিশ্বনাথনিউজ২৪ডটকম / বিএন২৪

আরও খবর

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত